বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ঈদের ছুটিতে সুগন্ধা ও ইনানী বিচে দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট : ০৪ মে ২০২২, ১০:৩২ এএম

ঈদের ছুটিতে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটক মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার সুগন্ধা বিচ ও ইনানী বিচ। একই সাথে কক্সবাজারের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকারি ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে পর্যটনের মৌসুমের ইতি টানছেন। তবে এই ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসলে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশার মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান সমুদ্র জানান, সকাল ১১টার পর থেকে সমুদ্র সৈকতে নামতে শুরু করে দর্শনার্থীরা। দুপুরের দিকে সৈকতের লাবণি, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে ভরে যায়। বিকেলের দিকে আরও বেশি দর্শনার্থী সৈকতে নামেন।

তিনি জানিয়েছেন, ঈদে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয় লোকজন। তারা ঈদের ছুটিতে মনের সুখে বেড়াতে ছুটে আসে সৈকতে। বুধবার থেকে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের কক্সবাজারে সমাগম ঘটবে।

কক্সবাজার লাবণি পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঙা হয়ে উঠেছে। ঈদের দিনে কিছুটা ব্যবসা হয়েছে। বুধবার থেকে ব্যবসা জমে উঠবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে ৫০ থেকে ৮০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে রাতদিন টহলে থাকবে টুরিস্ট পুলিশের দল।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদের পরে সাত দিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সৈকতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণের সার্বিক বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত