ঈদের ছূটি শেষে তেমন কোনো ভোগান্তি ও দুর্ভোগ ছাড়াই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গতদিনের থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও মানুষ স্বস্তিতে ফিরছে বলে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ও এর আশপাশের সড়ক ঘুরে দেখা যায়, কর্মস্থলে ফেরা রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলাগামী মানুষগুলো দূরপাল্লার বাস, মাহিন্দ্র, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হচ্ছে।
তবে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাস সিরিয়াল রয়েছে। এ সময় দেখা যায়, কিছু পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককেও সিরিয়ালে থাকতে দেখা যায়। তবে এসব অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলোকে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, যাত্রী পারাপার দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ২৩টি লঞ্চ ও ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। তবে ফেরির সংখ্যা ২১ থাকলেও চাপ সামলাতে ১৯টি যথেষ্ট। বাড়তি চাপ সৃষ্টি হলে বসে থাকা বাকি ২টি ফেরি চালু করা হবে।
রাবেয়া পরিবহনের সুপারভাইজার বলেন, গত ঈদেও ঘাটে যে পরিমাণ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল সে তুলনায় ঘাট পরিস্থিতি ভালো, ঘাটে এসে তেমন সিরিয়ালে পরতে হয় নাই। আমাদের লেনে কিছু কাঁচামালের ট্রাক চলে আসছে, এতে কিছুটা সময় বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কাঁচামালবাহী এক ট্রাক চালক জানান, তরমুজ নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ২০ মিনিট হইলো, ঘাটে এসে বসে আছি, এমনি সময়ে কাঁচামালের ট্রাক অপেক্ষা করতে হলেও আজ তেমন সময় লাগে নাই।
(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে যানবাহন পারাপারে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি ২টি ফেরি বহরে যুক্ত হবে। এছাড়া চাপ ও ভোগান্তি কমাতে আগামী আরও তিন দিন সকল অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের পারাপার করানো হবে না।