মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নারায়ণগঞ্জে বাম জোটের মিছিলে পুলিশের বাধা

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম

আধাবেলা হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোট মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরের ২ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, খোরশেদ আলম, জামাল হোসেন, রাতুল আহম্মেদ, রুহুল আমিন সোহাগ, নুরুল ইসলাম, সরত মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, রোকন আহম্মেদ প্রমুখ।

নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে হরতালের সমর্থনে শহরের ২ নম্বর রেল গেইট এলাকা থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট মিছিল বের করে চাষাঢ়া হয়ে ফের শহরের ২ নম্বর রেল গেইট এলাকা অতিক্রম করে চুনকা পাঠাগারের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় পুলিশ এসে তাদের বাধা দিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এতে মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ তাদেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হলে শহরের জেনারেল হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারা দেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এর সমর্থনে সকালে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠিচার্জ করেছে। এ সময় আমাকে পুলিশ আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, হরতালকারীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হরতালকারীদের ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত