ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ভীষণ কঠিন গ্রুপে পড়েছে ইতালি। তাদের সঙ্গে একই গ্রুপে আছে প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন স্পেন আর ক্রোয়েশিয়া। ২০১২ ইউরোতে ইতালিকে হারিয়েই ইউরোপ সেরা হয়েছিল স্পেন। ২০২০ ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেই স্পেনকেই ট্রাইব্রেকারে হারিয়েছিল ইতালি। ক্রোয়েশিয়া গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা দেশ।
গ্রুপের আরেকটি দল আলবেনিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ইতালির ম্যানেজার লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলেছেন, ‘গ্রপটা আরও ভালো হতেও পারতো। তবে আমরা ইতালি, কোনো কিছুই এ ভাবনা থেকে আমাদের মনোযোগ হটাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, 'এখন ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন, আরও কয়েক মাস বাকি। আলবেনিয়া অবশ্যই প্রমাণ করেছে যে তারা সুসংগঠিত, যদিও আমরা জানি যে সেই মুহুর্তে আমাদের ফর্ম, প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে আমরা কী প্রস্তুতি নিতে পারি এবং কীভাবে আমরা একসাথে কাজ করি তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। ক্রোয়েশিয়া একটি শক্তিশালী, অভিজ্ঞ দল। তাদের কিছু খেলোয়াড় কিছুটা উন্নতি করছে, তবে আমি জানি তাদের মধ্যে কেউ কেউ শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে।'
কাগজে-কলমে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ স্পেন, যারা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে ইতালিকে দু'বার হারিয়েছে, কিন্তু ইউরো ২০২০ সেমিফাইনালে পেনাল্টি থেকে হেরেছিল। স্পালেত্তি বলেন, 'যে কেউ এই খেলাটি ভালবাসে তাকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জটি উপভোগ করতে হবে, অন্যথায় আপনি এর সমস্ত আনন্দ হারাবেন।' তিনি বলেন, 'একটি ম্যাচের মধ্যে এমন বিভিন্ন মুহূর্ত থাকবে যখন দলকে রক্ষা করতে হবে, এমনকি প্রয়োজনে বক্সের প্রান্তে ১০ জন লোক থাকা সত্ত্বেও, তবে উদ্দেশ্য সর্বদা আকর্ষণীয় এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা।'
ইতালির ইউরো ২০২০ জয়ী দলের সহকারী কোচ প্রয়াত জিয়ানলুকা ভিয়াল্লির জন্য প্রার্থনা করে স্পালেত্তি বলেন, 'ভিয়াল্লি যেনো আমাদের রক্ষা করে।'
আত্মবিশ্বাস দেখালেও প্রতিপক্ষের প্রতি সমীহ জানাতে ভোলেননি স্পালেত্তি। বলেছেন, ‘কীভাবে খেলায় থাকতে হয় তা আলবেনিয়া দেখিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া খুব কঠিন ও অভিজ্ঞ দল। আর স্পেন? চ্যালেঞ্জ ও তুলনার বিচারে চমৎকার।’
গ্রুপ নিয়ে স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলেছেন, ‘এটি কঠিনতম গ্রুপ নয়, কঠিনতম গ্রুপগুলোর একটি। ইতালি ইউরোর চ্যাম্পিয়ন, ক্রোয়েশিয়া সবসময় আসরে ভালো করে আসছে, অবশ্য তারা খুব ফর্মে নেই এখন। আর আলবেনিয়া তাদের গ্রুপে সেরা হয়ে এখানে এসেছে।’