ব্যাংকিং খাতে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন পাকিস্তানের মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব। প্রতিমাসে ৩ কোটি রুপি বেতন পান তিনি। একইসঙ্গে তার রয়েছে নেদারল্যান্ডের নাগরিকত্বও। তবে পাকিস্তানের মন্ত্রী হতে এসব সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। এরইমধ্যে নিজের দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন করেছেন স্বনামধন্য এ ব্যাংকার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পরবর্তী অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আওরঙ্গজেব। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এখনো তার মন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা না দিলেও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ তথা পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আওরঙ্গজেব। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অর্থবিষয়ক প্রথম বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন এই ব্যাংকার। আর সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন গত পিএমএলএন-পিপিপি জোট সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। পিএমএলএন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইসহাক দারের অর্থমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কেন্দ্রীয় সরকারের উল্লেখযোগ্য অন্য কোনো মন্ত্রণালয় তাকে দেওয়া হতে পারে।
মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বর্তমানে হাবিব ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এইচবিএলের ২০২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য সুবিধাসহ তিনি মোট বছরে ৩৫ কোটি ২০ লাখ রুপি পেয়েছেন। এর অর্থ প্রতি মাসে তার বেতন ও অন্য সুবিধা মিলে পেতেন প্রায় ৩ কোটি রুপি।
প্রভাবশালী এ ব্যাংকার যখন লোভনীয় চাকরি ও দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তখন তিনি পাকিস্তানের জটিল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কীভাবে সমাধান করবেন তা পুরোটাই অনিশ্চিত। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তানে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হওয়ার পর স্ট্যান্ডবাই অ্যারেঞ্জমেন্ট কর্মসূচির অধীনে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করতে প্রস্তুত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে এইচবিএলের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত আছেন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব। এর আগে তিনি জেপি মর্গানের গ্লোবাল করপোরেট ব্যাংক ইন এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ে তার আছে কমপক্ষে ৩০ বছরের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা।