৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) চলা আন্দোলন আজ রবিবার (৩১ মার্চ) স্থগিত রয়েছে। আজ বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আন্দোলন সম্পর্কে পরবর্তী কর্মসূচি ও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।
আজ সকালে বুয়েট ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকে নেই কোনেরা শিক্ষার্থীর ভিড়। শহীদ মিনার চত্বরও ফাঁকা। ক্যাম্পাসের ভেতরের পরিবেশও অনেকটা সুনশান এবং নীরব। মূল ফটকে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। আর সামনে অপেক্ষা করছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিও জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।
গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।