শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের আরএমও

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১ পিএম

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। এর মধ্যে হাসপাতালে রোগীর চাপ এবং চিকিৎসকদের কষ্ট নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন একটি বেসরকারি টিভির নেত্রকোণা প্রতিনিধি আলপনা বেগম। ক্যামেরা দেখেই তার ওপর ক্ষেপলেন নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) একরামুল হাসান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ নভেম্বর ‘হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কালক্ষেপণে ন্যায় বিচার বঞ্চিত অনেকে’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণেই এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ, যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। তীব্র গরমে বৃদ্ধ, শিশু ও প্রসূতিরা যেন কাহিল। অনেক ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। তবুও চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

এদিকে গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ ও চিকিৎসকদের সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে বেলা ১১টা পর্যন্ত বসে থাকলেও আরএমওর দেখা পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে অফিস সহায়ক সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি জানান, স্যার বাসায় গেছেন।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অফিসে যান একরামুল হাসান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। স্যার ডেকে অফিসে আছেন কিনা জেনে হাসপাতালে ঢোকার কথা বলেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আলপনা বেগম বলেন, যে প্রতিবেদন নিয়ে এতকিছু সেখানে টাকা নিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়ার কথা কেন বলা হয়েছে, কেন চিকিৎসকের পক্ষে বলা হয়নি; এ কারণে তিনি (একরামুল হাসান) ক্ষিপ্ত হয়েছেন। ৭ বছর ধরে আছেন কিন্তু প্রমোশন হচ্ছে না উল্লেখ করেন তিনি। হাসপাতালে ঢোকার ছবি তোলাকে তিনি ‘অপরাধ’ মনে করছেন। আর এই অপরাধে স্টাফদেরও ডাকেন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বলেন।

আলপনা বেগম আরও জানান, প্রয়োজনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ের পারমিশন নিতে বলেন আরএমও। এ সময় তিনি ওই রিপোর্টের বিস্তারিত দেখিয়ে আবারও উত্তেজিত হন। প্রতিবেদনটির জন্য বক্তব্য নেয়ার সময় ডা. মিথিলা পাশে ছিলেন। পরে তিনি বলেন, এটা না দিয়ে আপনার ওটা দেয়া উচিত ছিল।

এ ব্যাপারে আরএমও একরামুল হাসানের মোবাইলে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগ কেটে দেন। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। উল্লেখ্য, আলপনা বেগম সময় টিভির নেত্রকোণা প্রতিনিধি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত