হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছে লক্ষাধিক জনতা। এ জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি।
বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসিসহ দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মরদেহের কফিন নিয়ে আসা হয়। এর আগে মঙ্গলবার, তাবরিজ, কোম এবং তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুল্লাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠীর নেতারা।
আল জাজিরা জানায়, জানাজায় ইরানের আধাসামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শোকার্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি ফিলিস্তিনি জনগণের নামে, গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীর নামে এসেছি সমবেদনা জানাতে।“ এ সময় তিনি রমজানের সময় তেহরানে রাইসির সাথে তার সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন।
জানাজায় বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরাও অংশ নেন।
আল জাজিরা জানায়, জানাজায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ছাড়াও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ, রাশিয়ান প্রতিনিধি, আফগানিস্তান থেকে তালেবানের প্রতিনিধিরা তেহরানে উপস্থিত হয়েছেন।
বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রাইসির জন্য স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইরান। এতে তুরস্ক, ইরাক, ভারত, রাশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, চীন, আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাইসির মরদেহ দাফনের জন্য তার নিজ শহর মাশহাদে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার মাশহাদে ইমাম রেজা মাজারে দাফন করা হবে রাইসিকে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান, প্রতি বছর লক্ষাধিক দর্শনার্থী এখানে ভ্রমণে আসে।
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত অন্য কর্মকর্তাদের মরদেহ দাফনের জন্য নিজ নিজ শহরে পাঠানো হবে।