ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিজয়ী হওয়ার দুদিন না যেতেই পড়লেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়। বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর কৌরের হাতে সপাটে চড় খেয়ে নতুন করে আলোচনায় নবনির্বাচিত এই সংসদ-সদস্য।
কঙ্গনাকে চড় মারা ওই কর্তব্যরত নারী কর্মী আদতে পাঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা। কৃষক আন্দোলনকে ‘খলিস্তানি’ বলে আক্রমণ করার জেরেই কঙ্গনা রানাউতকে তিনি চড় মেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
বর্তমানে এই বিষয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৷ জোড়ালো বিতর্ক হচ্ছে পক্ষে-বিপক্ষে ৷ তবে কুইন কঙ্গনা আর বিতর্কের একই নাম, তা অনেকেই বলে থাকেন ৷
বার বার বিভিন্ন বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন এই নব্য সাংসদ। এছাড়া বরাবরই দিল্লির রাজপথে পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন এই নায়িকা।
এর আগে ২০২১ সালে মাসখানেক ধরে চলতে থাকা দিল্লির রাজপথে পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে পর পর আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। আন্দোলনরত কৃষকদের কখনো ‘খলিস্তানি’, কখনও ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। এমনকী, বিতর্কিত তিন কৃষি বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা যখন ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী, তখনো কৃষকদের ‘জিহাদি’ বলে আক্রমণ করেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা।
এ কারণে শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভীষণ ক্ষেপেছিলেন। এ কারণে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাবে গিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল কঙ্গনাকে। কৃষকরা কঙ্গনার গাড়ি ঘেরাও করে সেইসময়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন।
আর সেই রাগের বহিপ্রকাশ আরেকবার হল ২০২৪ সালে। সেই রাগের বশেই কঙ্গনাকে কষে চড় মারলেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্তব্যরত নারী ‘সিআইএফ’ জওয়ান।
এছাড়া পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনরত নারীরা ১০০ টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেও নাকি মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। আর তাই বাকবিতণ্ডার মাঝে মাথা ঠান্ডা না রাখতে পেরেই সেই নারী কর্মী চড় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই শের সিং মহিবালও।
এরই মধ্যে কঙ্গনা রানাউতকে চড় মারার অভিযোগ ওঠা নারী কনস্টেবল কুলবিন্দরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ।