সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভ, রাজধানীতে সংঘর্ষ

  • বুয়েনস এইরেসের রাজপথে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়
  • পাথর নিক্ষেপ এবং সহিংসতার কারণে বিক্ষোভ থেকে ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের রাজপথে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

সে সময় জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভ দমাতে কয়েক শ নিরাপত্তাকর্মী রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছুড়েন।

তবে বিক্ষোভ স্বত্ত্বেও দেশটির আইনপ্রণেতারা এই বাজেট কমানোর সংস্কারে অনুমোদন দিয়েছেন। খবর আল জাজিরা।

সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসে বিতর্ক চলার সময় বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কংগ্রেস ভবনের বাইরে দুটি গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। তারা বেড়া টপকে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর পাথর ছুড়লে তাঁরাও পেপার স্প্রে ছোড়েন।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, জুয়ান ম্যানুয়েল পেদ্রিনিসহ বিক্ষোভে থাকা বেশ কয়েকজন বিরোধী আইনপ্রণেতাকে চোখ এবং ত্বকে জ্বালা-পোড়া চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এই বিক্ষোভকে ‘রণক্ষেত্রের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাথর নিক্ষেপ এবং সহিংসতার কারণে বিক্ষোভ থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। বুয়েনস আইরেস শহরের বিচার ও নিরাপত্তা মন্ত্রী ওয়াল্ডো উলফ বলেছেন, এক ব্যক্তির কাছে গ্রেনেডও পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিক্ষোভে সড়কে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আর্জেন্টিনায় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে বাড়তে বর্তমানে প্রায় ৩০০ শতাংশ হারে দাঁড়িয়েছে। খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে বাড়ছে দারিদ্র্য।

আর তাই দেশটিতে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি, সরকারি পেনসন ও শ্রম অধিকার কমিয়ে দেওয়ার মত সংস্কারের প্রস্তাব করেছেন দেশটির ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই। বাজেট কমানোর এই সংস্কারটি আর্জেন্টিনার সিনেটে ৩৬-৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটির অনুমোদন করান।

তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, এই সংস্কারের কারণে লাখ লাখ আর্জেন্টাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এই ধাপ শেষে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে যাবে এবং সেখানে আইনে পরিণত হবে।

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত