মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, গুলি ও টেটাঁবিদ্ধ ১০

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন নরসিংদী মডেল থানার এসআই জয় বণিক (৩১), আলিপুর গ্রামের আবুল মিয়ার স্ত্রী জামিনা বেগম (৭০), কামাল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫), রওশন আলীর ছেলে ফরহাদ (৩০), কামাল মিয়ার ছেলে দাউদ মনা (৪০), খলিল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৪০) ও ফরহাদ (৩৫)। এরা সবাই শাহজাহান মনার সমর্থক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইসমাইল কোম্পানি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মনার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকাল ১১টায় ইসমাইল কোম্পানির লোকজন শাহজাহান মনার লোকজনের ওপর অস্ত্র, টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ছোড়া গুলি ও টেটাঁবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে শাহজাহান মনার সমর্থক দাউদ মনা, সাইফুল ইসলাম, ফারুক মিয়া ও স্থানীয় দোকানি জামিনা বেগম গুলিবিদ্ধ আর ফারুক মিয়া, ফরহাদ টেটাঁবিদ্ধ হন। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের এসআই জয় বণিক গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও মাধবদীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল বাশার কমল বলেন, পুলিশের একজন এএসআইসহ গুলিতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের আহত এসআই জয় বণিক বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় একটি ছোঁড়া গুলি এসে আমার হাতে লাগে। পরে আমি সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছি।

নজরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেছি। তারপরও তারা বার বার সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। আজকেও তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছে। আমরা এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে কাজ করছি।

এ ব্যাপারে জানতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহীদুল ইসলাম সোহাগ ও নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদের মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত