বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ইতিহাস বলছে আর্জেন্টিনা সহজেই জিতবে সেমিফাইনাল

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ। তাই আলবিসেলেস্তেরা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে কনমেবল অঞ্চলে থাকা দলগুলোর বিপক্ষেই। তবে বিশ্বকাপ, কনফেডারেশন কাপ এবং কোপা আমেরিকাতে অতিথি দল থাকায় এসব টুর্নামেন্টে অন্য অঞ্চলের দলের বিপক্ষেও খেলে থাকে আর্জেন্টিনা।

এবারের কোপা আমেরিকাতে প্রথমবার অংশ নেয় কানাডা। তাদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালেও মেসিরা খেলবেন কানাডার বিপক্ষে।

কানাডা উত্তর আমেরিকার দেশ। আরও স্পষ্ট করে বললে, কনকাকাফ অঞ্চলে ফুটবল খেলে কানাডা। আর্জেন্টিনা কখনো কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে হেরে কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ, কনফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়নি। অর্থাৎ এই তিন টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচে আর্জেন্টিনা কখনো কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে হারেনি।

সেই ইতিহাস ধরলে বলা যায় কানাডার বিপক্ষে সহজেই সেমিফাইনাল জিতবে আর্জেন্টিনা। তবে মাঠের খেলায় পাল্টে যেতে পারে সব হিসেব।

কনকাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা খেলেছে ৩টি ম্যাচ। ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ৬-১ গোলে হারায় যুক্তরাষ্ট্রকে। এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জেতে ২-১ গোলে। ২০১০ বিশ্বকাপেও শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারায় মেক্সিকোকে।

কোপা আমেরিকাতে আর্জেন্টিনা কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে নকআউটে খেলেছে ৩ বার। ১৯৯৩ কোপা ফাইনালে আলবিসেলেস্তেরা মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় পায় ১-০ গোলে। ২০০৭ সালে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারায় মেক্সিকোকে। আর ২০১৬ কোপা আমেরিকা সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ৪-০ গোলে হারায় যুক্তরাষ্ট্রকে।

এছাড়া ২০০৫ কনফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ, কোপা ও কনফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টের নকআউটে কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা গোল করেছে মোট ২১টি। বিপরীতে গোল হজম করেছে মাত্র ৫টি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত