বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে দুই আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার পিএসসির (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন) চেয়ারম্যান ও সচিব, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ নোটিস পাঠান।
নোটিসে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় প্রতারণার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা, বর্তমান পদবি উল্লেখপূর্বক তালিকা প্রণয়ন করে কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত বেতন ভাতাদিসহ গৃহীত সব আর্থিক সুবিধা ফেরত নেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিসে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান নোটিসদাতা ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
নোটিসে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক ও অন্যান্য কর্মচারী গত কয়েক দশক ধরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে আসছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গাড়িচালক আবেদ আলীসহ কর্ম কমিশনের এ পর্যন্ত ১৭ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী ও অন্য অসাধু কর্মচারীরা কীভাবে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিতরণ করে প্রত্যেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বিবরণ দিয়েছেন। পুলিশ আবেদ আলী ও কর্ম কমিশনের অন্য কর্মচারীদের কাছ থেকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রণয়ন করছে। নোটিসে বলা হয়, দেশে চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষা হচ্ছে বিসিএস। তবে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে একদিকে অযোগ্য অদক্ষ ব্যক্তিরা প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীর অভাবে প্রজাতন্ত্র কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।