রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান, বিক্ষোভ  

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

কোটা আন্দোলনে পুলিশ সদস্য, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ যারা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং নির্দেশ দিয়েছে তাদের হত্যা মামলা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানোসহ নয় দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় সেখানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা হলেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছাইফুল ইসলাম।

শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচিতে ও বিক্ষোভ মিছিলে নানা ধরনের স্লোগান দেন। এর মধ্যে আছে ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘মানতে হবে মানতে হবে, ৯ দফা মানতে হবে’ এবং ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো ১. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিতে হবে এবং জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ২. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাস কর্তৃক ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রীকে দায় নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ৩. ঢাকাসহ দেশের যত জায়গায় শিক্ষার্থীরা শহীদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ৪. ঢাবি, জাবি এবং রাবির ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। ৫. যে পুলিশ সদস্য, ছাত্রলীগ ও যুবোলীগসহ যারা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং নির্দেশ দিয়েছে তাদের আটক করে এবং হত্যা মামলা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখাতে হবে। ৬. দেশব্যাপী যেসকল শিক্ষার্থী ও নাগরিক শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৭. ঢাবি, জাবি, চবি এবং রাবিসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনসহ সকল দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্রসংসদ কার্যকর করতে হবে। ৮. অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল সমূহ খুলে দিতে হবে। ৯. কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো ধরণের হয়রানি করা হবে না মর্মে অঙ্গিকার করতে হবে। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত