পটুয়াখালীর দুমকিতে আমবস্যার জোর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে মাঠ তলিয়ে গেছে। এতে আমনের বীজতলা তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, দুমকিতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমি। ওই জমিতে বীজ বপন করতে ৩ হাজার ৩৩০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে উফসি জাতের বীজধান প্রণোদনা দেওয়া হয়। বীজ পেয়ে বীজতলা তৈরি করেন কৃষকরা। কিন্তু জোয়ার ও বৃষ্টিতে মাঠ পানিতে তলিয়ে গিয়ে বীজতলার বীজ পচে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, বেশির ভাগ বীজতলা পচে গেছে। নতুন বীজতলা তৈরি না করে উপায় নেই। কিছু বীজ পানির ওপরে ভাসছে। ওই বীজের ওপর ভরসা করা যায় না। কিছু কৃষক উঁচু জমির বীজতলা রক্ষায় সেচ দিচ্ছেন, কিন্তু কাজে আসছে না। দিনে সেচ দিলেও রাতে ওই বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আঙ্গারিয়া, জলিশা, শ্রীরামপুরের গাবতলীসহ বিভিন্ন স্লুইসগেটগুলো বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত স্লইসগেটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা খান বলেন, স্লুইসগেটগুলোর কপাট বন্ধ থাকায় পানি নামছে না। ফলে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি না নামায় বীজ পচে যাচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে বেশির ভাগ পচে গেছে। পুনরায় বীজতলা তৈরি করা ছাড়া জমি রোপণ করতে পারবো না।’
পশ্চিম আঙ্গারিয়া গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মাঠ তলিয়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ পানি এসে আমাদের বেশি ক্ষতি করেছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান বলেন, ‘পানিতে আমনের কিছু বীজতলা তলিয়ে গেছে। তবে পানি কমে গেলে কৃষকদের তেমন সমস্যা হবে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত স্লুইসগেট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’