ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে একটি হেলিকপ্টারে গণভবন ছাড়েন শেখ হাসিনা। সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন তিনি। কিন্তু যুক্তরাজ্য শেখ হাসিনাকে কি আশ্রয় দেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রের দাবি, হাসিনা ব্রিটেনে আশ্রয় চেয়েছেন। সম্প্রতি সেখানে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টারমার।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনডিটিভি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। ওই পদ্ধতিতে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে না ব্রিটেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনো ব্যক্তি নিকটতম নিরাপদ দেশেই সাধারণত আশ্রয় চেয়ে থাকেন।
ব্রিটেনের সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘কঠিন সময়ে ব্যক্তিবিশেষকে আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। সে ইতিহাস গর্বের। কিন্তু ব্রিটেনে পৌঁছে সেখানে আশ্রয় চাওয়ার নিয়ম নেই। যাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন, তারা দেশ ছাড়ার পর প্রথম যে নিকটবর্তী নিরাপদ দেশে পা রাখছেন, সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার কথা। সেটাই তার নিরাপত্তা পাওয়ার দ্রুততম রাস্তা।’
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বক্তব্য অনুযায়ী, ব্রিটেনে গিয়ে সেখানে আশ্রয় চাইতে পারবেন না শেখ হাসিনা। আগে থেকে তাকে আবেদন জানাতে হবে আশ্রয়দানকারী দেশের সরকারকে। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সেই সময় পাননি। তাই এখনও তার কাছে সবুজ সঙ্কেত আসেনি। তবে সূত্রের খবর, শেখ হাসিনার আবেদন বিবেচনা করে দেখছে ব্রিটেন।
বাংলাদেশ ছেড়ে প্রথমে ভারতেই পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। আপাতত তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তাকে কিছু দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শেখ হাসিনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী, তা তিনি ভারত সরকারকে জানালে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।