মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

চাপে পদত্যাগ চাপে শিক্ষা

সরকারের কড়া বার্তায়ও থামছে না, অভিযোগ সেল গঠনের পরামর্শ

আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের পদত্যাগের জন্য চাপ দেয় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানসহ অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। আবার অনেকেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কেউ কেউ ভয়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকছেন। স্বাধীনতার পর শিক্ষকদের এমন পদত্যাগ নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক পদত্যাগ না করাতে কড়া বার্তা দিলেও, তা থামছে না। দ্রুত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখছেন শিক্ষাবিদরা। অবশ্য এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বিগত সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ।

দেশে এখন স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫টি। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত চারটি এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫১টি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান জানান, সরকার পতনের পর অন্তত ৪৪ জন উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ডিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ থেকে কয়েকশ শিক্ষকের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।

পদত্যাগী উপাচার্যরা জানান, তাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের চাপের মুখে সম্মান বাঁচাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

নজিরবিহীন এ পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, গবেষণাসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। দাপ্তরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ার শঙ্কা দিয়েছে।

তবে আপদকালীন সমস্যা সমাধানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অন্তর্বর্তী সরকার গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না পেলে পুরোপুরি সংকট কাটবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা দেশের স্কুল-কলেজেও পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। তার বেশিরভাগই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু রাজধানী ঢাকায় গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান পদ ছেড়েছেন। বরখাস্তও হয়েছেন দু-একজন। নিজের করা দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণেও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তাদের কেউ কেউ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে বাসভবন ছেড়ে প্রধান শিক্ষকের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত আওয়ামীপন্থি শিক্ষক এবং যারা সরাসরি আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেননি, অনেক ক্ষেত্রে তারাই হেনস্তার মুখে পড়েছেন। শিক্ষকদের নামে ব্যানার বানিয়ে, তালিকা করে, ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে যেমন টার্গেট করা হয়েছে, তেমনি অনেককে বাসায় গিয়েও হুমকি দেওয়া কিংবা খোঁজ করা হয়েছে।

অন্যদিকে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার বানাচ্ছে। তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও আক্রোশ থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে শিক্ষকের স্ট্রোক করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের উত্তরের একটা জেলা নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে তার কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছিল শিক্ষার্থীরা। ২৮ আগস্ট সকাল থেকেই অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। অবরুদ্ধ অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে অধ্যক্ষ অসুস্থ ও একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তাকে প্রথমে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুন্দীতে অবস্থিত নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানকে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কয়েকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলমকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। নানা অপবাদ দিয়ে তার পদত্যাগের জন্য একদল শিক্ষক মাঠে নামেন। কিন্তু এসব অপবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অন্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে একদল কিশোর ও যুবক গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি করেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। তারা দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কিছু বহিরাগত ছাত্র স্কুলের শিক্ষকদের জোর করে মিটিং করতে বাধ্য করেন।

পদত্যাগে বাধ্য হন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম। ১১ আগস্ট ভিকারুননিসার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে তারা পদত্যাগপত্র দেন। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দাবির প্রতি সম্মান রেখে আমি পদত্যাগ করছি।’ আর ড. ফারহানা খানম বলেন, ‘আমাকে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাম প্রকাশ না করে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি কখনো রাজনৈতিক বক্তব্য কিংবা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কিছুই বলিনি বরং তাদের পক্ষে সমর্থন ছিল। অথচ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আমাকে পদত্যাগ করতে নানানভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমি অফিসে যেতে পারি না, এমনকি বাসায় থাকাও নিরাপদ মনে করছি না। আমার একমাত্র দোষ আমি আওয়ামীপন্থি নীল দলের সমর্থক ছিলাম।’

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম একটি সফল গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের অর্জিত এ সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে সমন্বয়কদের আরও সজাগ থাকাতে হবে, যেন অতি উৎসাহী হয়ে কোনো অছাত্র তাদের অর্জনকে ম্লান করতে না পারে। সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান দাবি করেছেন তারা।

একটি মহল শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করছে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত শনিবার এক মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক বিধিমালা ও রাষ্ট্রের আইনের মাধ্যমে বিচার করা উচিত। কিন্তু তা না করে শিক্ষকদের জুতার মালা পরিয়ে, টানাহেঁচড়াসহ নানাভাবে অসম্মান করে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হচ্ছে, যা নিন্দনীয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন বিভেদ ও অনাস্থা তৈরি হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক আবু বাকের মুজমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ঘেরাও করিনি এসব বিষয়ে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবসময়ই বলেছি যে, শিক্ষার্থীরা যেন এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত না হয়।’

শিক্ষক পদত্যাগের নামে সারা দেশে যা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, সেটা সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কেউ যদি ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করে, তাহলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের মধ্য দিয়ে তদন্তসাপেক্ষে তার বিচার হোক।’

দলীয়করণ এসব ঘটনার জন্য বড় দায়ী মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তামজীমউদ্দীন খান। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা তো সত্যি কথা, শিক্ষকদের যে হারে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং অনেক শিক্ষক দলীয় পরিচয়ে অনেক কাজ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ক্ষোভ তো থাকবেই। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকেও এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা দ্রুত নিরসন করা দরকার ছিল।’

অধ্যাপক তামজীমউদ্দীন বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সে অভিযোগগুলো নিরসনের জন্য একটা অভিযোগ সেল করা যেত। সে অনুযায়ী যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত। এটা না হওয়ার কারণে অনেক নিরীহ শিক্ষকও ভুক্তভোগী হচ্ছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’

শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তার প্রতিকারের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের খুঁজে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে শত শত সুপারিশ আসছে নানা দিক থেকে। আমি যোগ্য, যাদের পদায়ন করা যায়, বিভিন্নভাবে আমার মতো করে খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করি যে, অচিরেই আমরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারব।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত