মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

অবশেষে গ্রেপ্তার দ. কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন

আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম

অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় ভোরবেলা রাজধানী সিউলে ইউনের ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিউলের পাহাড়ি এলকার নিজস্ব বাসভবনে বসবাস করছিলেন ইউন। বাড়িটির চারদিক কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল বাড়ির বাইরে ছিল।

গ্রেপ্তারের জন্য তার বাসভবনের সামনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মই বেয়ে ইউনের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। এ সময় গ্রেপ্তার ঠেকাতে ভিড় করেন ইওলের সমর্থকরাও। তবে পুলিশের কঠোর প্রতিরোধের মুখে সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বাসভবনে ঢুকে গ্রেপ্তার করা হয় ইওলকে।

যদিও ইউনের আইনজীবীরা বলছেন, এই গ্রেপ্তার অবৈধ এবং ইউনকে জনসমক্ষে হেয় করার জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ইউন সুক ইয়োলই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসন ও গ্রেপ্তার পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।

এর আগে, ইউনকে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে একবার গ্রেপ্তারের জন্য কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তবে তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। 

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জের ধরে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে শুরু হয় ফৌজদারি তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের তলবে হাজির হতে ইউন অস্বীকৃতি জানালে, গত ৩১ ডিসেম্বর ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত