ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই নির্বাহী আদেশে সইয়ের রেকর্ড গড়লেন সদ্য ক্ষমতা নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত আদেশও রয়েছে। খবর বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমস।
নির্বাহী আদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। যার মধ্যে রয়েছে— ডব্লিউএইচও-এর “কোভিড-১৯ মহামারির ভুল ব্যবস্থাপনা” এবং “জরুরিভাবে প্রয়োজন এমন সংস্কারে ব্যর্থতা”।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এত দিন অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অন্যায্য পরিমাণে’ অর্থ প্রদান করেছে।
এদিকে হু থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করবে এবং পরবর্তী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা আরও কঠিন করে তুলবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আবারও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার ট্রাম্পের প্রথম কর্মদিবসেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে গত এক দশকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্ববৃহৎ কার্বন নির্গমনকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার বাইরে নিয়ে যাওয়া হলো।
জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা অন্যায্য, একতরফা ও প্রতারণামূলক প্যারিস জলবায়ু চুক্তি প্রত্যাহার করেছি। চীন পরিবেশ দূষণ করার পরেও যখন শাস্তি পাচ্ছি না, তখন আমরা কেন নিজেদের শিল্পকে ধ্বংস করব?’
ট্রাম্পের এই ঘোষণায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া হতাশাজনক হলেও আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের শহর, রাজ্য ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো কম কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসবে।’