বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

জোনায়েদ সাকি

দেশের জনগণ আর কখনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করবে না

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ৫৩ বছরে দেশের শাসকগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে এমন এক শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে দেশকে নিয়ে গেছে। দেশে মানুষের ন্যূনতম ভোটের অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ভোট ছাড়াই গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা মানুষের গলা চেপে ধরে গুম, খুন চালিয়ে জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের ওপর চেপে বসেছিল।

তিনি বলেন, ’২৪-এর জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থান শেখ হাসিনাকে জনগণ এক রক্তাক্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করেছিল যেমন করে ’৬৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক জান্তা আইয়ূব খানকে জনগণ উচ্ছেদ করেছিল। জনগণের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার, স্বৈরতন্ত্র পতনের পর গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই তীব্র হয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে সাফল্যও আসে। বলা যায় ’৬৯ ফিরে ফিরে আসে ’৯০ হয়ে, ২০২৪ হয়ে।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন সিন্ডিকেট ও নতুন করে আরোপিত ভ্যাট এবং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বিগত সরকারের সিন্ডিকেট সচল রয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নাকাল মানুষ, জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। অথচ সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে বাজারে কলা, আনারস, পেয়ারা, টমেটো সস, ইত্যাদির মতো সাধারণ দ্রব্যেও ১৫% ভ্যাট আরোপিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের কাছে এগুলো প্রত্যাশা ছিল না জনগণের। সরকারকে আইএমএফের শর্তকে মোকাবিলা করেই জনগণের পক্ষে দেশের অর্থনৈতিক খাতকে পরিচালিত করতে হবে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার পর যদি আওয়ামী লীগ সরকারের মতোই সেগুলোর দায় ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিতে চায় কিংবা প্রকৃত-অবস্থাকে ঢাকতে চায় তাহলে সেটা তাদের ব্যর্থতা ঢাকারই অপচেষ্টা হবে।

তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতের গুলি চালানো ও আগ্রাসন বাংলাদেশের জনগণ বরদাশত করবে না। আর কখনোই যাতে এই দেশে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গৃহীত না হয় সেটাই ২০২৪ এর অভ্যুত্থানের প্রেরণা। ২০২৪ বাংলাদেশেকে মাথা উচু করিয়ে দিয়েছে, সে মাথা আর কোনওদিন কোনও বিদেশি শক্তির কাছে নত হবে না।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, তরিকুল সুজন, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব মাহবুব রতন, দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. সেলিুমজ্জামান, মিরপুর জোনাল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রতন তালুকদার, পল্লবী থানা আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম নোমান, রুপনগর থানা আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ, হাতিরঝিল থানা সংগঠক হামিদুল ইসলাম, উত্তরা পশ্চিম থানা সংগঠক লুভানা তাবাসসুম ও বংশাল থানা আহ্বায়ক জয় ভৌমিক সদস্য সচিব আহমদ উল্লাহ সুমিত প্রমুখ। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আলিফ দেওয়ানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত