রাজধানী উত্তরায় পূর্ব থানা একটি চাঁদাবাজি মামলায় ৩ সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উত্তরা ১২/১৩ মোড় থেকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ মোহাম্মদ আকাশ, মোহাম্মদ রবিন ও বাপ্পি সহ এক নারীকে গ্রেপ্তার পর পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় অন্য উত্তরা ছাত্র সমন্বয়করা পূর্ব থানায় কেন মামলা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চায়। প্রায় তিন ঘণ্টা থানায় অবস্থান করে তারা। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড অবরোধ করে ছাত্ররা। পরে সন্ধ্যায় কিছু ছাত্র উত্তেজিত অবস্থায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে তারা থানাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেবের ওপর হামলা করা হয়। পরে কিছু সমন্বয়ক তাদের ফোন করে সেখান থেকে নিয়ে আসে।
সন্ধ্যায় ৮ টার দিকে পূর্ব থানায় তাদের নিয়ে আলোচনায় বসে উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার রওনক জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বেশ কিছু ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, যারা এই মামলাটি করেছেন তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন চাঁদাবাজি, নারী সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের কথায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই জুলাই আন্দোলন সক্রিয় ভূমিকা রাখে। তাদের ফাঁসানোর জন্য একদল প্রতারক এই মামলা করেছে।
শিক্ষার্থী তামিম ফয়েজ সাকিব বলেন, আমাদের কিছু স্টুডেন্ট চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে। ওইসব ছাত্রদের অভিযোগে পুলিশ আমাদের ফ্রন্ড লাইন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। আমরা তিন ঘণ্টা ধরে থানায় অবস্থান করি এবং তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কিছুই সঠিকভাবে বলতে পারেনি।
মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ওসি হাফিজ ও এসআই আবু সাঈদ এই দুজনের অপসারণ আমরা চেয়েছি। ডিসি ম্যাডাম আমাদেরকে নিয়ে বসেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বরাবরই আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি ওসি শাহ আলম পালানোর ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এর আগেও এ রকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাইনি। এমন ঘটনা যাতে কারো সাথে না ঘটে সেজন্য তিনি আহ্বান জানান।
অন্যদিকে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন ছাত্র বলেন, যারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
এদিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ছাত্রদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। যার ভেতরে উত্তরার পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদকে অপসারণ করতে হবে।
এ ঘটনায় পুলিশের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ করেনি।