বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ফেনী

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ এএম

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে কয়েক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানার পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ীর নাম জহির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি সোনাগাজীর পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী, বাড়ি সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ গ্রামে।

এদিকে আটকের পর শুক্রবার বিকালে পুলিশ তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যা ঘটনায় হওয়া দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যবসায়ী জহির মাগরিবের নামাজ শেষে হেটে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় একাধিক ব্যক্তি তাকে ধরে চড়থাপ্পড় মেরে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তিরা মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে রক্ষা করে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। এসময় এক ব্যক্তিকে পুলিশের উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা গেছে স্যার স্যার সে আমাকে গুলি করেছে। ওই সময় জহির নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে থাকেন।

স্থানীয়রা জানায়, ব্যবসায়ী জহির আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালে পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণের দিন ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারীর অনুসারীরা তাকে ব্যাপক মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। তারপর রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। পৌর শহরের তাকিয়া রোডের ফাতেমা মঞ্জিলের পাশে ভূমি নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ব্যক্তির বিরোধ চলমান রয়েছে।

জহিরের ছেলে লিংকন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আমার বাবা গুলি করতো দূরের কথা, কোনো মিছিল মিটিংয়ে ছিল না। ফেনীতে হওয়া কোন মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়নি। প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের ভূমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তাও রয়েছে। তারা আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়েছে। আদালতে মামলা দেওয়ার পর তারা আমার বাবা হয়রানি করতে থাকে। রক্ষা থেকে পেতে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিচারও চেয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়াতে দুইটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত