বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের কোথাও ঠাঁই হবে না। ছাত্র-জনতার হত্যাকারী, লুটেরা, মাফিয়াতন্ত্রের জনক শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরতরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
আজ বুধবার ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের পাশের লেকপাড়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ধানমন্ডি থানা আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমান উপস্থাপিত ৩১ দফা ও জন সম্পৃক্তি শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। আলোচনা করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দীন অসীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলম রবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, আব্দুস সাত্তার, সাইদুর রহমান মিন্টু, মজিবুর রহমান মজু, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনসহ বিএনপির মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গসংঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দীন অসীম বলেন, আজ যারা সংস্কার করার কথা বলেন, তারা হয়তো ভুলে গিয়েছেন এদেশের রাষ্ট্রকাঠামো, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর সংস্কার শুরু করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের হাত দিয়ে বাংলাদেশ সংস্কারের যে কর্মসূচি তার চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, অনির্বাচিত সরকারগুলো সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করেছেন, নিজেদের ক্ষমতা নিরংকুশ করতে তারা সমস্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। আর তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র কাঠামোকে যুগোপযোগী, জনকল্যাণ এবং জনমুখী করতে রাষ্ট্র সংস্কার করা প্রয়োজন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাই ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি প্রস্তাবনা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, আমরা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান থেকে টেনে তুলতে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির বিকল্প নাই। তাই ৩১ দফা কর্মসূচি আত্মস্থ করে নিজেদের দেশগড়ার কাজে নিয়োজিত করতে হবে।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে শেখ হাসিনার গণহত্যার বিভিষিকা ফুটে উঠেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নাই বরং তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ নামে কোনও রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার নাই। ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে এদেরকে নির্মূল করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণে সকল ভেদাভেদ ভুলে ৩১ দফার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মনে রাখতে হবে জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠাই আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য।