খুলনার কয়রায় পাঠদান চলাকালে একই মাদরাসার ১৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো- রিফা তসনিম, সুমাইয়া সিদ্দিকা, মীম, আখি, জুঁই, মিথিলা, কুলসুম, হামিদা, কেয়া, মীম সুলতানা, তন্নী, অরিসা, হুমাইরা, উর্মী। তারা সকলেই দশম শ্রেণির ছাত্রী।
অসুস্থ ছাত্রীরা জানান, তাদের বুক ধড়ফড় করে ও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। কয়েকজনের বমি হয়। একজনের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। চার জন অচেতন হয়ে পড়ে।
প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়া দশম শ্রেণির ছাত্রী রিফা তাসনিম জিবা বলেন, সকালে মাদরাসায় আসার পর থেকে বুক ব্যথা করে ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। একপর্যায়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও অচেতন হয়ে পড়ি। এরপরে আর কিছু বলতে পারি না। এখন অনেকটা ভালো লাগছে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা সুজা উদ্দীন বলেন, পাঠদান চলাকালে রিফা নামের একজন ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আরও তিনজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিক আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, মীমসহ কয়েকজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এখন হাসপাতালে ৩ জন ভর্তি রয়েছে। বাকি ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তারা ম্যাস হিস্টেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা শারিরিকভাবে অনেকটা দুর্বল। এছাড়া অধিকাংশই সকালে না খেয়ে মাদরাসায় যায় বলে তথ্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি।