শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ববিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, কার্যালয়ে তালা

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন ও শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি বাস্তবায়নের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করে তার অপসারণের দাবি করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১-এর নিচতলায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি নিয়ে বাসভবনের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের ছয়টি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তার পদত্যাগের দাবি জানান তারা।

উপাচার্যের ছয়টি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হলো- উপাচার্যের সুবিধার জন্য মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রাখা; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আগাম জামিন পাওয়া; নিয়মবহির্ভূতভাবে দুজন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের নাটক মঞ্চস্থ করা; বিশ্ববিদ্যালয় আইনের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার পাঁয়তারা; গত ৬ মাসেও ২২ দফা বাস্তবায়নে উদ্যোগ না নেওয়া এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে তার পদে বহাল রেখে উপাচার্য তার বলয় সৃষ্টি করছেন এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনার পক্ষের শিক্ষকদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে মিথ্যা অজুহাতে দুজন শিক্ষক প্রতিনিধিকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দিয়েছেন। সেখানে ফ্যাসিস্টের সহযোগী দুজন শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই দুজন শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য করার জন্য উপাচার্য পাতানো গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করেছেন।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর শুচিতা শরমিন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কবল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মুক্ত করতে ২২ দফা দাবি ঘোষণা করেছিলেন। উপাচার্য এসব দাবি বারবার সময় নিয়েও পূরণ করেননি। এ জন্য আমরা তাঁকে আর সুযোগ দিতে চাই না। উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে পুনর্বাসন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের জন্য গোপনে সিন্ডিকেটের সভাও ডেকেছেন। আমরা অনতিবিলম্বে উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত