বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নানা দিকে মোড় নিচ্ছে। এবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকট তুলে ধরে অনড় কর্মসূচি নিয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জনমত সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষর্থীদের দাবি, বর্তমান ভিসি ড. শূচিতা শরমিন দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসেও এক টাকার উন্নয়ন করতে পারেনি। বরং স্বরৈাচারের দোসরদের নানা সুবিধা দিয়ে ২৪ শের আন্দোলনকে ভূলুণ্ঠিত করছেন। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষোভই তাদের নানা সংকট তুলে ধরতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মানববন্ধন করে। পরে বিশ্বদ্যিালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্লাকার্ডে ‘শিক্ষক সংকট কেন ?’‘ক্লাসরুম সংকট কেন?’‘মেডিকেলে ঔষধ কই?’‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পূর্নবাসন কেন?’‘এক সেমিস্টারে এক বছর কেন?’‘আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ কই ?’‘শিক্ষার্থীদের বিরূদ্ধে মামলা কেন?’‘পরিবহন সংকট কেন?’‘ বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কেন?’‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিচার কই?’ ইত্যাদি লিখে দাঁড়িয়েছেন ।
এ দিকে মঙ্গলবার ববি শিক্ষার্থীদের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে পিরোজপুর নেছারাবাদের আলকীরহাট রজ্জব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯০তম বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড শূচিতা শরমিনকে প্রধান অতিথি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ববি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে থাকবে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতামূলক জায়গায়। কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ যাবত আন্দোলন চলা সত্ত্বেও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত শিক্ষার্থীদের সাথে বসে চলমান সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন মানববন্ধনে বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলেও আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রশাসন জর্জরিত করেছে। মামলার সাক্ষীরা নিজেরাও জানে না সেদিন কি ঘটেছিল। এই মামলার হামলা ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সুজয় শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটা হটকারিতার মধ্যে দিয়ে হুট করে ভিসির গেট ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে তাদের ফাঁসি দিতে পারে না। তাই মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।