বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

আশুলিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে মশাল মিছিল 

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ এএম

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িত চিহ্নিত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাভার-আশুলিয়ার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ব্যানারে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় থানার গেইটে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সময়ে আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এছাড়া, গণহত্যার সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার না করে চুনোপুটিদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। একই সাথে আশুলিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তাদের সতর্ক করে হুঁশিয়ারী দেন বিক্ষোভকারীরা।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, আজকের বিক্ষোভ মিছিলে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং  উপস্থিত ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই শ্রমিক নেতা তার বক্তব্যে আরও বলেন, গোটা আশুলিয়াজুড়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। এসব অপরাধের প্রতিকার এবং এ বিষয়গুলো আশুলিয়া থানা পুলিশকে অবগত করতেই আমরা আজকে এখানে সমবেত হয়েছি। গত কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের তথ্য এবং সাধারণ মানুষের তথ্য অনুযায়ী এই আশুলিয়া থানায় পুলিশের অসাধু কর্মকর্তারা মামলা বাণিজ্য করছে। তারা নামে বেনামে মামলা সাজিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে এবং ঘুষ বাণিজ্য করছে।

বক্তব্যে অরবিন্দু ব্যাপারি আরও বলেন, আমরা চাই না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গোটা জাতির কাছে দেশের পুলিশ বাহিনী যে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, পুলিশের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সেটি আর অব্যাহত থাকুক। আশুলিয়া বাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা থানা পুলিশকে সহযোগিতা করবো। আমরা চাই না এখানে প্রশাসনের কোনো সুবিধাবাদী লোকজন  ঝামেলা পাকাবে এবং চাঁদাবাজি করবে আর স্বৈরাচারের দোসররা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে। আশুলিয়ার ওসিকে বলতে চাই, স্বৈরাচারের দোসরা, ১৪ দলের অনুসারীরা, যারা গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের কোনো রকমের ছাড় না দিয়ে দ্রুততার সাথে গ্রেপ্তার করুন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম প্রয়োজনে এখন স্বৈরাচারের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। পুনরায় কোনো রকমের মামলা বাণিজ্য এবং মামলা বাণিজ্যের বিষয় যদি আমাদের নজরে আসে তাহলে আমরা ছাত্র, শ্রমিক, জনতা বড় ধরনের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। 

মামলা বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দীককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত