কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও অহেতুক হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের আলু চাষীরা।
রোববার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বীরগঞ্জ পৌর শহরের শহিদ মিনার চত্বরে আলু চাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব ঘোষণার ৭ দিনের আল্টিমেটামের অংশ হিসাবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষকেরা আলু ফেলে দিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে। মহাসড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
মানববন্ধনে আলু চাষী ও আলু ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু, জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আনসারুল ইসলাম।
আলু চাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কৃষক রেজাউল ইসলাম, আলু ব্যবসায়ী কছিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী ইরফান আলী, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মানিক হোসেন প্রমুখ।
আলু চাষী কছিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর থেকে তারা আলু সংরক্ষণে হিমাগারগুলোতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। হিমাগার মালিকপক্ষ আলুর বস্তা সংরক্ষণে একচেটিয়া মুনাফা করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন। আলু উৎপাদনে চাষীরা আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে আলু আমদানি করতে হয়। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা নিজেদের ইচ্ছামত ভাড়া বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত আবেদন করলেও ঘটনার কোনো সমাধান হয়নি। কারণেই তারা রাস্তায় নেমেছেন।
এ দিকে মহাসড়ক অবরোধের সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী ও বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল গফুর ঘটনাস্থলে এসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ জানান।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুনরায় কোল্ড স্টোরেজে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি টিম বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে তালা দিলে অবরোধকারীরা দুপুর ১টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।