শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বাধ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বাকযুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কতটা কঠিন। খবর রয়টার্স
শুক্রবার ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসের বাকবিতণ্ডা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ এনেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, জেলেনস্কির মনোভাব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৩ মার্চ) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘কিয়েভ সরকার ও জেলেনস্কি শান্তি চায় না। তারা চায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।’
পেসকভ বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ জেলেনস্কিকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে। জেলেনস্কিকে শান্তি চাইতে কাউকে না কাউকে বাধ্য করতে হবে। ইউরোপীয়রা যদি এটা করতে পারে, তাহলে তাদের সম্মান ও প্রশংসা করা উচিত। পেসকভ বলেন, ওভাল অফিসে ‘নজিরবিহীন ঘটনায়’ অন্তত জেলেনস্কির কূটনৈতিক দক্ষতার অভাব প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে রবিবার জেলেনস্কি বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঠিক করতে পারবেন। তবে ইউক্রেন শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়ার কাছে কোনো অঞ্চল ছাড়বে না।
এদিকে ওভাল অফিসে বাগযুদ্ধের পর ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রোববার লন্ডনে এক শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের জন্য ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়নে সম্মত হয়েছেন। স্টারমার একটি নতুন ব্রিটিশ ১.৬ বিলিয়ন পাউন্ড (২ বিলিয়ন ডলার) চুক্তিও ঘোষণা করেছেন, যা ইউক্রেনকে ৫ হাজার বিমান-প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমতি দেবে।
তবে শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন বলছে, লন্ডন শীর্ষ সম্মেলন ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে। এ সম্মেলন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা, শান্তি খোঁজার জন্য নয়।
পেসকভ বলেন, রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবে এবং ইউক্রেনে মস্কো ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অব্যাহত থাকবে।