‘ডেভিল হান্ট’ নাম দিয়ে অনেকটা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শুরু হয়েছিল ‘শয়তান শিকার’ অভিযান। কিন্তু এ অভিযানে ‘বিশিষ্ট ডেভিলরা’ ধরা তো পড়ছেই না, উল্টো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ‘মব ভায়োলেন্স’। নিয়ন্ত্রণহীন মব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে নাখোশ খোদ সরকারের হাইকমান্ডও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দাবি উঠেছে অভিযানের ‘ডেভিল হান্ট’ নামটি পরিবর্তন করতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ডেভিল হান্টের’ নামটির বিষয়ে সরকারের হাইকমান্ড আপত্তি জানিয়েছে। এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। অভিযানের নাম বদলানোর বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া দুই-তিন দিনের মধ্যে মবের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুরু থেকেই অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামটি অনেকেরই পছন্দ হয়নি। পুলিশও চায়নি এ ধরনের নাম রাখতে। পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলেন অন্য কোনো নাম নিয়ে অভিযান চালাতে। কিন্তু মন্ত্রণালয় তখন রাজি হয়নি। বর্তমানে বিশেষ অভিযানের মধ্যেই অনেকে ঘোষণা দিয়ে মবে জড়িয়ে পড়ছে। কিছুতেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এখন অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। হাইকমান্ডের নির্দেশে কিছুদিনের মধ্যেই ডেভিল হান্টের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে কয়েক দিনের মধ্যে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অভিযানের নাম কী হবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশেষ করে মবের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠক হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুপাররা বলছেন, মবের কোনো ঘটনা ঘটলে ছাত্র পরিচয় দিলে পুলিশ আর সামনে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আবার ছাত্র পরিচয় দিয়ে দুর্বৃত্তরাও মবে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাংয়ের পাশাপাশি পথশিশুরাও আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের দুষ্টচক্র আরও বেপরোয়া হয়ে আছে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, কারও প্রতি নির্যাতন, অত্যাচার, নিষ্ঠুরতা, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা যাবে না। মব জাস্টিসের নামে জোটবদ্ধ হয়ে হামলা-ভাঙচুরের অনেক ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা কর্মকর্তাকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা, মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া, আদালত এলাকায় আসামিদের ওপর হামলা এক ধরনের প্রতিশোধের মানসিকতা থেকে ঘটছে। এসব হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হলে স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মব ট্রায়ালের ব্যাপারে সরকার যে কঠিন অ্যাকশনে রয়েছে, এটা আরও দৃশ্যমান করা জরুরি। যৌথ বাহিনী মাঠে থাকার পরও যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ‘প্রতিশোধ স্পৃহা’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মবের বিরুদ্ধে আইন কী বলছে
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, অপরাধী-নিরপরাধী নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আওতায় বিচার লাভ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী অপরাধী ধরা পড়লে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে দণ্ডবিধির ১৮৭, ৩১৯, ৩২৩, ৩৩৫ ও ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে।
গণপিটুনিতে কোনো ব্যক্তি নিহত হলে দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা অনুযায়ী অংশ নেওয়া সবাই সমানভাবে দায়ী হবে। গণপিটুনি হলো মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা ১৯৪৮-এর তিন নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রত্যেকের জীবন, স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে।
মব বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা
সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর পুলিশের ঢিলেঢালা ভাব ও নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে অনেকে দলবদ্ধ হয়ে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিক ‘শাস্তি’ নিশ্চিত করার যে প্রবণতা সমাজে দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হলেও মব সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আসছে না। ডেভিল হান্টের অভিযান চালিয়েও কাজ হচ্ছে না। ছিনতাই, চুরি ডাকাতির ঘটনা কমছে না। সড়ক-মহাসড়কে নানা অপকর্ম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে ধরনের অভিযান বা সক্রিয় থাকার কথা তা বাস্তবে হচ্ছে না বললেই চলে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত পুলিশের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তারা পালিয়ে আছেন। হাসিনা সরকারের পক্ষে ন্যক্কারজনকভাবে ভূমিকা রাখায় সংগত কারণে দেশজুড়ে পুলিশও ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে। পুলিশের অনেক স্থাপনা ও যানবাহন আক্রান্ত হয়। ওই পরিস্থিতিতে কার্যত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে নানামুখী প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য শুরু থেকেই সেনাবাহিনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। অপরাধী ধরতে চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অপারেশন ডেভিল হান্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে চালু করা হয়েছে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার। এ ছাড়া নানা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তারপরও রহস্যজনক কারণে পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না। ফলে ডেভিল হান্টের অভিযানে বড় ধরনের সফলতা না আসায় সরকারের হাইকমান্ড নাখোশ। যে প্রকারই হোক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডেভিল হান্টের নাম থাকছে না
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকঢোল পিটিয়ে একযোগে পরিচালিত হওয়া অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামটি আর থাকছে না। নাম পরিবর্তন হলেও অভিযান বন্ধ হবে না। বরং যেকোনো অপরাধ কার্যক্রম ঠেকাতে ও অপরাধীদের ধরতে অভিযান আরও জোরালো হচ্ছে। ‘ডেভিল হান্টের’ নামটির বিষয়ে খোদ সরকারের হাইকমান্ডই আপত্তি জানিয়েছে। এ নিয়ে উপদেষ্টাদের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। অভিযানের নাম বদলানোর বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতনরা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ডেভিল হান্টের অভিযান নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মব নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। মব যেভাবে বেড়ে গেছে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে মবের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডেভিল হান্টের নাম থাকছে না। নামটি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও পছন্দ করেনি। আর অভিযানে তেমন একটা সফলতাও আসেনি। ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাকর্মী ছাড়া বড় মাপের কাউকে ডেভিল হান্ট ধরতে পারেনি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ডেভিল হান্টের নাম পরিবর্তন করা হলেও চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা অন্যান্য প্রয়োজনে আরও একাধিক অভিযান পরিচালনা করবে।
মব নিয়ে পুলিশ সুপাররাও বিরক্ত
কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার দেশ রূপান্তরকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আমরা চাপের মধ্যে আছি। ডেভিল হান্টের অভিযানেও থামছে না। ডেভিল হান্টের নাম নিয়ে আমরা প্রথমেই আপত্তি করেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে এ নামটি যায়নি। নামটি দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যাবে। মবের ঘটনায় আমরা বেশি বিরক্ত। মবের কোনো ঘটনা ঘটলে ছাত্র পরিচয় দিলে পুলিশ আর সামনে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আবার অনেক সময় দেখাও গেছে, ছাত্র পরিচয় দিয়ে দুর্বৃত্তরাও মবে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করেছি মব ঘটলেই প্রতিরোধ করতে হবে। আর না হয় কোনো কৌশলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। আমরা আরও তথ্য পেয়েছি, কিশোর গ্যাংয়ের পাশাপাশি পথশিশুরাও আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের দুষ্টচক্র আরও বেপরোয়া হয়ে আছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীরাও পাল্টে গেছে। চরমপন্থিরাও আগের চেয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হয়ে তাদের সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারিও আসছে না কাজে
এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে মব ভায়োলেন্সের নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গণপিটুনি ও মানুষ হত্যার মতো অপরাধ ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর ভাষায় সতর্ক করে জানিয়েছে, ‘কেউ যেন কোনো পরিস্থিতিতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানায় অবহিত করতে বলা হয়েছে। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু তারপরও মবের ঘটনা কমছেই না।
গত মঙ্গলবার রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশান-২ নম্বর সার্কেলের ৮১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির চতুর্থতলায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তল্লাশির অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করে বাসাটি তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বুধবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ইরানি নাগরিককে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই ইউসুফ আলীর ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত ঢুকেছে’ বলে মব তৈরি করে দুই যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পিটুনিতে গুরুতর আহত দুই যুবক পরে মারা যান। এ ধরনের ঘটনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে চলেছে।
অপরাধ বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলেন, যে ঘটনা এখন ঘটছে, তা আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিরই বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা এবং অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এটা প্রতিরোধে পুলিশও সক্রিয় নয়। মবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ডাকাতি-ছিনতাই বেড়েছে ৫০ শতাংশ
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে সারাদেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছর একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি।
পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে জানুয়ারি মাসে ৩৬টি হত্যা, ৫৪টি ছিনতাই, ১৪৬টি চুরি এবং আটটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার বাইরেও এসব ঘটনা বেড়ে গেছে।