মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

না পারলে ছেড়ে দেন: ড. ইউনূসকে দুদু

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে শিশু ধর্ষণ হচ্ছে। রাস্তায় যাকে খুশি কোপাচ্ছে। এজন্য কি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? এর জন্য কি আপনি (ইউনূস) রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন? না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। ছেড়ে দেওয়ার মূল কাজটা হচ্ছে নির্বাচন দেবেন। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পরে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এ দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে রয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির উদ্যোগে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন এবং জনগণ ভোট চায় শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স সাত মাস শেষে ৮ মাস চলছে। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর কিছু কাজ তিনি দ্রুত করেছেন। সেজন্যে আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই কাজগুলো হলো তিনি তার নিজের মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি তো গণআন্দোলনে ছিলেন না। কোনও গণআন্দোলনের কারণে তার নামে মামলা হয়নি। শেখ হাসিনা না নামলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে যে ঝামেলা ছিল, মামলা মোকাদ্দামা নিয়ে সমস্যা ছিল সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ৬ বছর কোনও কর দেওয়া লাগবে না। আমি এই জন্যেও তাকে ধন্যবাদ জানাই।

ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের ভালো পাগলেও বুঝে। আপনি সেই পথ অবলম্বন করেছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে আন্দোলন করেছে, যার কারণে ৬০ লক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে আড়াই লক্ষ মামলা হয়েছে। এগুলো প্রত্যাহার করেন নাই।

তিনি বলেন, আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে আমার খারাপ লাগছে এই কারণে যে আপনাকে আমরাই ক্ষমতায় রেখেছি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল তারাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরা যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আপনি আপনারটা বাদে অন্য কিছু চিন্তা করতে পারছেন না। আপনার সাথে ফায়সালা এখনও করিনি। সেজন্য রাস্তায়ও নামি নাই। আমরা রাস্তায় নামলে আপনাদের কি অবস্থা হবে, সেটা আমরাও জানি আপনারাও জানেন, দেশবাসীও জানে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আপনিই প্রথম না। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামল রয়েছে। এরশাদের রয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রয়েছে। আপনার একজন মহিলা উপদেষ্টা বলেছেন ৫১ বছরে কি হয়েছে। ৫১ বছরে বাংলাদেশ হয়েছে। বাকশালকে কবর দেওয়া হয়েছে। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাল রপ্তানি করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে মিল কলকারখানা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে বিদেশের শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। বিদেশ থেকে যে রেমিট্যান্স এখন পাচ্ছেন না, যে রেমিট্যান্স নিয়ে বড়াই করছে সেই বৈদেশিক শ্রমশক্তি জিয়াউর রহমানের আমলেই হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শুভর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট আজমেরী বেগম ছন্দা, এস কে সাদি, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আমির হোসেন  বাদশা, খোকন চন্দ্র দাস, আবদুল আহাদ নূর, সাংবাদিক নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত