মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ৩ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ তিন দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। রবিবার বিকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে তিনি অনশন শুরু করেন। তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আরও এক শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হন এদিন রাত থেকে।
তবে দেশব্যাপী তাদের দাবি আদায়ের সাড়া না পেয়ে প্রায় ২০ ঘণ্টার অনশন ভেঙে এবার অনশনের উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছেন ওই দুই শিক্ষার্থী। যতক্ষণ তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততক্ষণ সচিবালয়ের সামনে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে দু’জন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
অনশনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাতিন আলমাস এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিদার হাসান।
তাদের দাবিগুলো হলো- ১. মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ২. ধর্ষণের ঘটনায় একমাত্র শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদÐ এবং বিচার বিভাগে পৃথক ট্রাইব্যুনাল বা ধর্ষণ নিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে ৩. এই বন্দোবস্তের আওতায় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সচিবালয়ে অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনশন করে আমরা ভেবেছিলাম রাজশাহী জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনার থেকে আমরা সাড়া পাবো এবং তার কাছে তিন দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করবো। কিন্তু এটা যেহেতু শুধু রাজশাহীকেন্দ্রিক নয়, পুরো দেশকেন্দ্রিক। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। এজন্য আমরা সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
দাবি মেনে না নেয়া হলে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতেই হবে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ে অনশন করে যাবো।’