টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার নারী সমন্বয়ক মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠায়।
এর আগে রবিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে মিষ্টির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।
রবিবার রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা এলাকায় তার বাসা থেকে মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ছাত্র সমন্বয়ক মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম তৈরির ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইলজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। তখন মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রবিবার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।