ভোগ্যপণ্য বোঝাই লাইটার জাহাজে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড। পণ্য লোডিংয়ের পর যাতে লাইটার জাহাজগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে সেজন্য জাহাজগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
আজ সোমবার পর্যন্ত ১০৮৫ জাহাজে অভিযান চালিয়ে ভোগ্যপণ্য ও তেল ভর্তি জাহাজগুলোকে গন্তব্যস্থানে পাঠিয়েছে।
অভিযান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সবুজ বাংলা জাহাজের ক্যাপ্টেন লে. কমান্ডার সালমান সিদ্দিকী দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জাহাজগুলোকে বাধ্য করছি। কোনও জাহাজ যাতে পণ্য লোডের পর ৭২ ঘণ্টার বেশি সাগরে বা চট্টগ্রাম বন্দর পরিসীমায় অবস্থান করতে না পারে। একইসাথে পণ্যভর্তি কোনও জাহাজ সাগরে দাড়ানো অবস্থায় দেখলেই আমাদের টিম সেই জাহাজে অভিযান পরিচালনা করছে।’
এমন কী পরিমাণ জাহাজে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সালমান সিদ্দিকী বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা ১০৮৫টি জাহাজে অভিযান পরিচালনা করেছি। এসব জাহাজগুলোর বেশিরভাগই ছিল ভোগ্যপণ্য ও তেল পরিবাহী।
কিন্তু কোস্টগার্ড এসব জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দর সীমা থেকে সরিয়ে দিলেও গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পথে মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকলে কে ব্যবস্থা নেবে? এই প্রশ্নের জবাবে সালমান সিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও খুলনা পর্যন্ত আমাদের ১৫টি স্টেশন রয়েছে। সেসব স্টেশনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এসব জাহাজকে মনিটরিং করছে।
ব্যবসায়ীরা লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি চক্র একাজ করছে। এদিকে বাজারের গুদামগুলোতে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান পরিচালনা করছে। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা এই পথ বেছে নিয়েছে। আর তা প্রতিরোধ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে পণ্য লোডিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদেশ জারি করে।