বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ছাত্রলীগ নেতার মাধ্যমে লোকবল হিযবুতে!

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪ এএম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের বড় জমায়েত চিন্তায় ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, আরেক নিষিদ্ধ ছাত্র সংঘঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কোচিং সেন্টার থেকে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয় মিছিলে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তিনটি কলেজের চার ছাত্র লোক জমায়েতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সংগঠনটি প্রকাশ্য আসার চেষ্টা করছে। হিযবুতের কর্মকান্ড সক্রিয় করার পেছনে রয়েছে একাধিক প্রবাসীর ইন্ধন। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সংগঠনটির নীতিনির্ধারকরা। তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। সংগঠনটির রয়েছে নারী ইউনিটও।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লিদের ব্যানারে ‘মুক্তির এক পথ খিলাফত খিলাফত’ স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে হিযবুত তাহরীর উলাই’ ইয়ার বাংলাদেশ। আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে ওইদিন ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির মাধ্যমে বড় আকারে প্রকাশ্যে আসে সংগঠনটি।

এদিকে সম্প্রতি হিযবুতের মিছিল-সমাবেশে কঠোর হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। তবে তালিকাভুক্তদের মধ্যে ৭১২ সদস্য পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ বলছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হিযবুত তাহরীরে সদস্য রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭১২ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

হিযবুত তাহরীরের বিষয়ে গত রবিবার এক সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর আপনারা দেখেছেন, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি মিছিল করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে সেটি পণ্ড হয়ে যায় এবং তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ সরকার এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনোভাবেই কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।’

ছাত্রলীগ নেতার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ : সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানায়, হিযবুতের গত শুক্রবারের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কোচিং সেন্টার থেকে স্কুুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয়। এমন একটি কোচিং সেন্টার হলো ‘আইটিজেড একাডেমিক কোচিং।’ এটি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে অবস্থিত। কর্মসূচিতে লোক জমায়েতের জন্য ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাাপ গ্রুপ খোলা হয় হিযবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে। ইংরেজিতে ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ নামের ওই গ্রুপে বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে লোক নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত এলাকার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পরিবহনের ব্যবস্থাও করে রাখা হয়। এই গ্রুপ ঘেটে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

অ্যাপস গ্রুপে উদ্বেগজনক তথ্য : গ্রুপটিতে দেখা গেছে, গত শুক্রবারে যারা মোহাম্মদপুর থেকে বায়তুল মোকাররমের কর্মসূচিতে যোগ দেবে তাদের জন্য মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের আলাহ করীম মসজিদের অপর পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডে নির্ধারিত বাসের ব্যবস্থা রাখা হবে। কারা এই এলাকা থেকে যেতে চায় তাদের মতামত আহ্বান করে একটি মেসেজ পোস্ট করা হয়। সেই মেসেজের উত্তরে যারা কর্মসূচিতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তাদের অধিকাংশই ‘আইটিজেড একাডেমিক কোচিং’ সেন্টারের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী।

কোচিং সেন্টারটির বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আবু রায়হান নিজেকে ছাত্রলীগের বগুড়া জেলার সহ-সভাপতি পরিচয় দিতেন। মামুন ওরফে মালিক এবং আরেক মামুন নামে একজন যুক্ত যিনি নিজেকে র‌্যাবের সাবেক আইন ও গণমাধ্যম শাখার সাবেক এক পরিচালকের কাজিন পরিচয় দেন।

মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা সোয়েব মাহমুদ বলেন, ‘আমি কোচিংয়ের কাছাকাছি থাকেন এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এর আগেও এই কোচিং নিয়ে সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নানক সাহেবের কাছে গিয়েছিল। তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। হিযবুতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবৎ কোচিংটিতে রাত-বিরাতে প্রচুর মানুষ যাওয়া-আসা করত। যাদের গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। শুক্রবারের কর্মসূচিতে মোহাম্মদপুর থেকে যে ছেলেগুলো গিয়েছে তাদের বেশিরভাগই কোচিংয়ে সেন্টারের কর্মচারী বা ছাত্র। কোচিংটিতে সাইফুরস’ কোচিং সেন্টারের ডলি এবং সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনের বড় অংকের ইনভলভমেন্ট আছে বলে স্থানীয় মুখে শোনা যায়। এ ছাড়া মামুনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। যদিও পাঁচ আগস্টের পরে তার ফেসবুক আইডিতে গোপালগঞ্জ বদলে বাগেরহাট করা হয়েছে।’

মোহাম্মদপুর থেকে লোক জমায়েতের নেতৃত্বে চার কলেজ শিক্ষার্থী : মার্চ ফর খিলাফাহ গ্রুপ ঘেটে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের তিনটি কলেজের চার ছাত্র লোক জমায়েতে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের একজন সেন্ট যোসেফ কলেজের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তানিম শিকদার শিহাব। এই শিহাব সরফরাজ নামে এক কথিত বড় ভাইয়ের নির্দেশে সব কাজ করেছে। সে বিদেশি একজন নাম করা ইউটিউবারের ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া লোক জমায়েতে আরও ভূমিকা রাখে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী কাব্য আহমেদ ও মুনতাসীর অয়ন। একই কাজ করেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর। এই চার জনের মধ্যে আসাদুজ্জামান নুর, তানিম সিকদার শিহাব ও আহমেদ নাসিফ করিম ওরফে কাব্য আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

প্রশিক্ষিত ৭১২ সদস্যের হদিস নেই : পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিযবুত তাহরীরে সদস্য আছে অন্তত ১৫ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৭১২ সদস্য কোথায় আছে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছে না পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। তাদের সন্ধান করতে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে পুলিশের সবকটি ইউনিটে।

বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের বাইরে থেকে কেউ কেউ সহযোগিতা করছে। তারা ওইসব দেশে বসে অর্থ পাঠাচ্ছে। বিশেষ বার্তা পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব হিযবুতের পলাতক জঙ্গিদের ধরতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, নিষিদ্ধ হওয়া অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর চেয়ে হিযবুত তাহরীর সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। তারা শিক্ষিত জঙ্গি। দেশের বাইরে যারা পালিয়ে আছেন তাদের ধরতে ইন্টারপোলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি পলাতক জঙ্গিদের ধরতে। তাদের চিহ্নিত করতে না পারায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। সামনের দিনগুলোতে তাদের কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিদেশ থেকে আসছে অর্থ : গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অর্থ সহায়তাকারীদের মধ্যে লন্ডন, পাকিস্তান হংকং ও আমেরিকার নাগরিক রয়েছেন। বাংলাদেশে কোন কোন অঞ্চলে তাদের কমিটি ও কার্যালয় আছে তার সন্ধান পেতে কাজ করছে পুলিশ। বিভাগীয় অঞ্চলগুলোতে একাধিক কমিটিও আছে তাদের। ওই কমিটির মাধ্যমে তারা দাওয়াতি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমনকি সংগঠনটির মহিলা ইউনিটও রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে দলে আনা যায় সেই জন্য ‘দাওয়াতি টিম’ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। তারা মোবাইল ফোনের অ্যাপস ব্যবহার করে বেশি তথ্য আদান-প্রদান করছে। বিশ্বের ৯৫টি দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারমধ্যে আমেরিকায় আছে শক্তিশালী কমিটি। ভারতবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও ওই দেশে হিযবুত তাহরীর কার্যক্রম চলছে। মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, সুদান, লিবিয়া, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, তুরস্কসহ অন্য দেশগুলোতে হিযবুত তাহরীর সক্রিয় আছে। তবে জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, ফ্রান্স, কাতার, সুদান, ওমান, জর্দান, সিরিয়া, ইরাক, মিশর, লিবিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, আজারবাইজান, তুরস্ক ও তিউনিশিয়া সরকার হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। তারপরও ওই সব দেশে তাদের প্রচার চলছে।

জঙ্গি কর্মকা-ে সম্পৃক্ত থাকায় ২৩টি দেশে হিযবুত নিষিদ্ধ : সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানান, জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করে সরকার। তারপরও তাদের সাংগঠনিক কর্মকা- থেমে থাকছে না। গোপনে তারা অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। সংগঠন পরিচালনার জন্য বিদেশ থেকে আসছে অর্থ। তাছাড়া প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি সব ধরনের সহায়তা করছে। জঙ্গি কর্মকা- চালানোর দায়ে বাংলাদেশসহ বিশে^র ২৩টি দেশে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে। সংগঠনটির মূল কমিটিতে কারা আছেন কেউ জানে না। তাদের কেউ চেনেও না। রহস্যের মোড়কে থাকে তারা। যার ফলে মূল নেতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি সংগঠনটির। কমিটি মিছিল, সমাবেশ, সেমিনার ও  গোলটেবিল বৈঠকই করছে তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, নিষিদ্ধ করার পর তাদের কর্মকা- আরও বেড়ে গেছে। নানা কৌশল অবলম্বন করেও শীর্ষনেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করতে হিমশিম খাচ্ছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। মাঝে মধ্যে পোস্টার সাটারিং বা লিফলেট বিলি করতে গিয়ে পুলিশ বা র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ছে কিছু মাঠপর্যায়ের কর্মী। সংগঠনের শীর্ষনেতাসহ অন্য সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় আছে। দফায় দফায় নেতারা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, হিযবুত তাহরীরের কর্মকা- মনিটরিং করা হচ্ছে। জামিন পেয়ে হিযবুতের অনেক সদস্য মুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের হদিস মিলছে না তা সত্য। তাদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের পেছনের শক্তিদের উদঘাটনেরও চেষ্টা চলছে। তাদের রোধ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত শুক্রবার সংগঠনটির মিছিল-সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। সেখানে আমরা ছাত্রলীগের কিছু নেতার সন্ধান পেয়েছি। ইতিমধ্যে হিযবুতের যাদের ধরা হয়েছে তাদের কাছ থেকেও ছাত্রলীগ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। থানা পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হিযবুতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে ধৃতরা দাবি করছে।

পোস্টারে আপত্তিকর লেখা : জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ পরপরই হিযবুত তাহরীরের ব্যানারে সারা দেশে পোস্টারিং করা হয়েছে। একেকটি পোস্টারে একেক ধরনের লেখা থাকে। একটি পোস্টারে লেখা ছিল ‘জনগণকে দুর্দশয়ায় নিমজ্জিত রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক খেলা নিশ্চিত প্রতারণা’। ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি, ব্যাপক বেকারত্ব, তীব্র জ্বালানিসংকট এবং ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে জনজীবন দুর্দশায় নিমজ্জিত। জনগণের দুর্দশার কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির শাসক গোষ্ঠীর দশকের পর দশকের দুর্নীতি এবং তাদের পশ্চিমা প্রভুদের পুঁজিবাদী নীতির বাস্তবায়ন। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য, পশ্চিমাদের হাতিয়ার আইএফএম-বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে পৃথিবীর বহুদেশে অর্থনীতি ধ্বংস ও পরনির্ভরশীল হয়ে গেছে। আবার আমেরিকার সা¤্রাজ্যবাদ নিয়েও তারা পোস্টারিং করেছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত