নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই গণবিজ্ঞপ্তি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’র ক্ষেত্রে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম গত রবিবার এ রিট আবেদন করেন। তিনি হাইকোর্টের রুল ও আদেশের বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসির বর্তমান আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১০০ উপজেলা ও ২২ জেলায় দলের কমিটি থাকতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিন জেলায় মাত্র ২০টি উপজেলা রয়েছে। ফলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ইচ্ছা করলেও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে না, এমনকি আঞ্চলিক দল গঠনেরও সুযোগ পাবে না। এভাবে ইসির আইন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘ইসির গণবিজ্ঞপ্তি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে। আমরা আদালতে এই গণবিজ্ঞপ্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়েছি।’
গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়। তবে হাইকোর্টের এই আদেশে গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এখন স্থগিত রয়েছে।
এই রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এটিএম সাদেক হোসেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ।