মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ৫ সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের গণমাধ্যমের শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আরসা প্রধানসহ ৫ সহযোগীকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঈনউদ্দিন কাদির দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খোরশেদ আলম মোল্লা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করার জন্য গোপন বৈঠক করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আতাউল্লাহ ছাড়া রিমান্ডের বাকি আসামিরা হলেন, মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪) ও হাসান (৪৩)। এরা সকলেই মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আতাউল্লাহ ছাড়া বাকিরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তাদের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (২৪) রয়েছেন।
এর আগে ১৭ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার দুটি মামলা করে। গ্রেপ্তারদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধের পরিকল্পনা ছিল বলেও জানায় পুলিশ।