রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে এ আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশনের কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে চাওয়া হয়। সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হলেও মাত্র ১৫টি রাজনৈতিক দলের থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হবে। যারা ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছেন, তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর যারা মতামত দেবেন, ক্রমান্বয়ে তাদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠনের পাশাপাশি জাতীয় সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নির্ধারণ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে একমত হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা জুলাই সনদ।
জানা গেছে, কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সব দলের সঙ্গে আলাদা আলোচনা শেষে সব দলকে একসঙ্গে নিয়ে আরেক দফা আলোচনা হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। এলডিপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। তবে অন্য কিছু রাজনৈতিক দল এখনো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। বিশেষ করে বড় দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছে।
