রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ঢেউ খেলানো ১৫ কিমি

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:১২ এএম

ঈদের বাকি মাত্র ১১ দিন। কয়েক দিন পর থেকেই শুরু হবে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার যাত্রা। এতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে সড়কপথে। তবে এবারের ঈদযাত্রায় ব্যস্ততম খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা অংশে কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটারের বেহাল দশা। বেশিরভাগ জায়গায় পিচ সরে হয়ে আছে ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু। তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। অনেক জায়গায় সৃষ্ট গর্ত রূপ নিয়েছে খানাখন্দে। এ ছাড়া তিন কিলোমিটার সড়কে রীতিমতো জানান দিচ্ছে বিপদসংকেত। যা ঘরমুখো মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির পাশাপাশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ১০৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মংলা (দ্বিগরাজ) সড়ক (এন-৭) ৩৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার, খুলনা শহর বাইপাস সড়ক (রূপসা সেতুর এপ্রোচ সড়কসহ) (এন-৭০৯) ২৬ দশমিক ৫৬৭ কিলোমিটার, খুলনা শহর (পুরনো অংশ) ফেরিঘাট-ডাকবাংলো মোড়, খুলনা (এন-৭১০) দশমিক ৪০ কিলোমিটার, বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন সংযোগ সড়ক (এন-৭১৪) ১০ কিলোমিটার ও খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (খুলনা অংশ) (এন-৭৬০) ৩৩ কিলোমিটার। মহাসড়কগুলোর মধ্যে ১৫ কিলোমিটার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তবে বেশি খারাপ খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়কের তিন কিলোমিটার সড়ক। যার বেশিরভাগ জায়গায় পিচ সরে গেছে। তৈরি হয়ে আছে ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ। যেখান দিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন।

জানা গেছে, খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়কটি পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্তের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, যা শেষ হয় ২০২০ সালের জুনে। এতে ব্যয় হয় ১৬০ কোটি টাকা। তিন ফুট পুরু করে ১৮ ফুট থেকে ৩৬ ফুট প্রশস্ত করা হয় সড়কটি। তবে পুনর্নির্মাণের মাত্র এক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত এবং বিটুমিন সরে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে যায়। প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রায় তিন বছর ধরে কয়েক দফায় মেরামত করে। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ার পর সওজ নিজস্ব অর্থায়নে ফের দফায় দফায় মেরামত করেছে। তবুও এখনো চরম বেহাল দশা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কটির নিচখামার রেলক্রসিংয়ের দুপাশে এক কিলোমিটার, হোগলাডাঙ্গা পাওয়ার গ্রিডের সামনে এক কিলোমিটার, গুটুদিয়া ও ডুমুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে অর্ধকিলোমিটার এবং কাঁঠালতলা ও চুকনগর বাজারের মধ্যে এক কিলোমিটার জুড়ে বিটুমিন দলা বেঁধে উঁচু-নিচু ও এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও গর্ত খানাখন্দে রূপ নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক বলেন, জাতীয় মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার বেশি খারাপ রয়েছে। ঈদের আগে কিছু অংশ মেরামত করা হবে। পুরো অংশ করা সম্ভব না। তবে ইতিমধ্যে টেন্ডার শেষে গেছে। ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। ঈদের পর সবচেয়ে খারাপ জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত