মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৬

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান।

এর আগে, মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল বারেক মুন্সি বাড়ির মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. জাকির হোসেন ওরফে রাকিব (২৪) একই বাড়ির দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ফারহান (১৯), একলামপুরের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল হাসান ওরফে রাহাদ (২২), সদর উপজেলার ভুলুয়া কলোনীর মো. লিটনের ছেলে মো. রিপন(২২), সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর গ্রামের ভূঁইয়া হাজী বাড়ির সাহেব উল্যার ছেলে শামীমুর রহমান ওরফে শামীম (২২) ও আলীপুরে ঈদের বাপের বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে মো. ফয়সাল ওরফে বুলেট বাবু (২৩)।

পুলিশ জানায়, ৭০ হাজার টাকা দামে টানা বাইক বিক্রয় হবে বলে নোয়াখালী বাইক হাট নামে ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেয় জাকির হোসেন রাকিব। ওই পোস্টের সূত্র ধরে ফেনী সদরের ফরহাদ নগর গ্রামের শফিকুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও মেসেঞ্জারে কথা হয় রাকিবের। একপর্যায়ে মঙ্গলবার ১৮ মার্চ সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল কেনার জন্য ভুক্তভোগী তার এলাকার আজিজুর রহমান মিলনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্লোব ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর আসে। তখন প্রতারক রাকিব তাদেরকে বিজ্ঞাপনের মোটরসাইকেলটি দেখিয়ে দর-দাম করে। এরপর অন্য আসামিরা পেছন থেকে এসে শফিক ও মিলনকে জড়িয়ে ধরে।

পুলিশ আরও জানায়, ওই সময় আসামিরা তাদেরকে চড়-থাপ্পর মেরে সঙ্গে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং আসামি জাকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ আসামির বাড়ি ও গাবুয়া বাজার হুন্ডা সার্ভিসিং সেন্টার থেকে ১টি সুজুকি জিক্সার, ১টি পালসার, ১টি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শফিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা একটি প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে কম দামে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলে তাদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ চোরাই মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত