মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদেশটি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটিক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এর বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ এনেছে। তারা গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পিত অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই বন্ধ করতে এবং শিক্ষা বিভাগ ভাঙা ঠেকাতে আদালতে মামলা করে।
হোয়াইট হাউসের বরাতে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে। হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হবে, যেখানে ট্রাম্পের সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসসহ বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান গভর্নর উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হ্যারিসন ফিল্ডস বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সব শিক্ষার্থীর জন্য ফলাফলের উন্নতি করতে ক্ষমতা দেবে।
তবে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। কেননা সম্পূর্ণরূপে বন্ধের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রিগ্যান প্রশাসনের সময় থেকে শিক্ষা বিভাগ ভেঙে ফেলা রিপাবলিকানদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল। শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনকে সিনেট কর্তৃক নিশ্চিত করার কয়েক ঘণ্টা পর একটি মেমো জারি করেছিলেন।
এদিকে নাগরিক অধিকার সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ কালারড পিপল এই আদেশটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে কঠোর সমালোচনা করেছে। সংস্থাটির সভাপতি ডেরিক জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, এটি লাখ লাখ আমেরিকান শিশুর জন্য একটি অন্ধকার দিন, যারা মানসম্মত শিক্ষার জন্য সরকারের তহবিলের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে দরিদ্র ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের শিশুরাও রয়েছে, যাদের বাবা-মা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য স্কুল ডিস্ট্রিক্টকে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী স্টুডেন্ট লোন, টাইটেল ওয়ান এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শিক্ষা আইন নির্বাহী আদেশে পরিবর্তন করা হবে না। তবে শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়া হলে কোনো ফেডারেল সত্তা তাদের জন্য দায়ী থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ঋণ ট্রেজারি বা ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রশাসন বা বাণিজ্য খাতে আনা যেতে পারে।