সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

তুরস্কের মসজিদে শিশুদের জন্য নানা উদ্যোগ

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:১৬ এএম

রমজান উপলক্ষে তুরস্কের বেশ কয়েকটি মসজিদে শিশুদের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপহার দেওয়া এবং আকর্ষণীয় কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে নামাজের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করা হচ্ছে। এ ছাড়া মসজিদকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

ইস্তাম্বুলের উস্কুদার জেলার ভালিদে-ই আতিক মসজিদের ইমাম ওসমান আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মসজিদে শিশুদের আগমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রমজানে তাদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। ছোটদের মসজিদে স্বাগত জানানো এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হলে তারা ইবাদতের প্রতি আগ্রহী হবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে। আমরা মসজিদে শিশুদের দেখতে ভালোবাসি। যখন তারা নামাজ পড়ে, আমরা তাদের জুতায় ছোট উপহারের প্যাকেট রেখে দিই। নামাজ শেষে মসজিদ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আয়োজন থাকে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে মসজিদের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা গড়ে ওঠে। আমরা প্রতিদিন শিশুদের নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। যারা তারাবির নামাজে অংশ নেবে, তাদের জন্য থাকবে পপকর্ন, ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন এবং অন্যান্য আনন্দদায়ক কার্যক্রম ও উপহার। শিশুদের উপস্থিতিতে মসজিদের পরিবেশ একেবারেই অন্যরকম আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে।’

ওসমান উল্লেখ করেন, তার মসজিদে যে বিশেষ কর্মসূচিগুলো নেওয়া হয়েছে, তা অন্যান্য মসজিদেও গ্রহণ করা উচিত। এসব উদ্যোগ শুধু শিশুদের সঙ্গে মসজিদের সম্পর্ক দৃঢ় করে না, বরং আজীবনের জন্য নামাজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে। তার মতে, এ ধরনের প্রচেষ্টাকে আরও সম্প্রসারিত করা হলে ছোটদের অংশগ্রহণ বাড়বে এবং তারা মসজিদের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করবে। এ বছর কিছু জায়গায় মসজিদে শিশুদের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানদের মসজিদে এনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে রেখে যাচ্ছেন, যা মসজিদের পরিবেশ ব্যাহত করছে এবং ইবাদতের পবিত্রতা নষ্ট করছে। তিনি বলেন, ‘বড় মসজিদগুলোতে শিশুদের খেলাধুলা ও ঝগড়ার বিষয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ যৌক্তিক হলেও শিশুদের মসজিদে আসা বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। এ বছর সামাজিক মাধ্যমে আমরা দেখেছি, কিছু শিশু মসজিদের ভেতরে বল নিয়ে খেলছে। শিশুদের মসজিদে আসা উচিত, তবে তাদের ইবাদতের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। নামাজের সময় নামাজের জন্য, আর খেলার সময় খেলার জন্য। যখন লোকজন নামাজ আদায় করছে, তখন শিশুদের মসজিদের পেছনে খেলা করা উচিত নয়। এটি ইবাদতের পরিবেশ ব্যাহত করে এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। আমাদের উচিত শিশুদের মসজিদের আদব শেখানো, তবে এমনভাবে নয় যাতে তারা অবাঞ্ছিত মনে করে। মসজিদে ঢুকেই যেন শিশুরা বুঝতে পারে এটি ইবাদতের স্থান, খেলার মাঠ নয়। তবে এটি বোঝাতে হবে কোমলভাবে, যাতে তারা কষ্ট না পায়।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত