সাত সংখ্যাটির সঙ্গে ব্রাজিলের শত্রুতা সেই ২০১৪ বিশ্বকাপ থেকে। জার্মানির কাছে ৭ গোল হজম করেছিল ব্রাজিল। এক দশক পরও সেই সাত সংখ্যাটি ব্রাজিলের পিছু ছাড়ছে না। গত রাতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের ৭ জন বদলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সত্যিই কি এটা নিয়ম বহির্ভূত কিছু?
করোনা পরিস্থিতিতে একটি দলকে চারের পরিবর্তে সর্বোচ্চ পাঁচজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামানোর সুযোগ দিয়েছিল ফিফা। পরবর্তীতে ২০২১ সালে এই আইন স্থায়ীভাবে কার্যকর করা হয়। তাহলে ব্রাজিল কীভাবে সাত বদলি নামাল? মূলত এর পেছনে আছেন আলিসন বেকার। ৬৯ মিনিটে একটি ফ্রি–কিক বিপদমুক্ত করতে গিয়ে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দাভিদসন সানচেজের মাথার সঙ্গে গোলকিপার আলিসনের সংঘর্ষ হয়।
দুজনেই মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ফিফার কনকাশন প্রটোকলে বলা হয়েছে, কোনো দলের একজন খেলোয়াড় মাথায় আঘাতজনিত চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও একজনকে খেলানো যাবে। এ কারণেই মাথায় আঘাত পাওয়া গোলকিপার আলিসনের পরিবর্তে নামেন বেন্তো এবং শেষদিকে ভিনির জায়গায় মিনিট দুয়েকের জন্য মাঠে নেমে অভিষেক হয় সেন্টার–ব্যাক লিও ওরতিজের।
এই দুজন ছাড়াও ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র বদলি হিসেবে নামিয়েছিলেন জোয়েলিন্তন, মাথেউস কুনিয়া, সাভিনিও, আন্দ্রে এবং ওয়েসলি ফ্রাঙ্কাকে। সুতরাং, এতে কোনো নিয়মভঙ্গ হয়নি। চাইলে কলম্বিয়াও কনকাশন আইনে একজন বাড়তি খেলোয়াড় বদলি নামাতে পারত, কিন্তু তারা সেটা করেনি। ম্যাচটির যোগ করা সময়ের ৯৮ মিনিটে গোল করে ২-১ ব্যবধানে ব্রাজিলকে জয় এনে দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।