ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দ্বিতীয়দিনের মতো তুরস্কে অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে চলমান এ বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে দেশটির পুলিশ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তুরস্কের রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ওজগুর ওজেল দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেন। তার এমন ঘোষণার পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
হুঁশিয়ারি দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘তুরস্ক সন্ত্রাসের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই— সিএইচপি নেতা যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তা সহ্য করা হবে না।
বিরোধী দলকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে একটি দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মুষ্টিমেয় সুবিধাবাদীকে তুরস্কে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে দেব না।’
প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারির জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা ওজেল বলেন, ‘আমি লাখ লাখ মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যারা বলে রাস্তায় লোকজনকে ডেকে আনা দায়িত্বজ্ঞানহীন; তাদের বলছি— আপনাদের অনাচার ও অন্যায়ই মানুষকে বের করে এনেছে।’
প্রসঙ্গত, এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ৫৩ বছর বয়সী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় প্রাইমারিতে ২০২৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিএইচপির প্রার্থী হিসেবে ইমামোগলুকে মনোনীত করার কথা রয়েছে। ওজেল বলেছেন, প্রাইমারিতে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন প্রতিনিধি ভোট দেবে, যেখানে তার এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হলে ইমামোগলুকে পদ থেকে সরিয়ে তার জায়গায় ‘ট্রাস্টি মেয়র’ নিয়োগ করা হতে পারে।
এদিকে তীব্র বিক্ষোভের মুখে শুক্রবার লিরা ও বন্ডের দরপতন এবং ইস্তাম্বুলের শেয়ারের দাম ৮ শতাংশ কমেছে। এতে উদ্বেগের তৈরি হয়েছে দেশটির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।