বাংলাদেশে শেখ হাসিনাবিরোধী ঢেউ উঠেছিল, সে বিষয়ে ভারত আগে থেকেই অবগত ছিল। তবে সেই বিষয়ে দিল্লি হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। শনিবার (২২ মার্চ) নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক পরামর্শক কমিটির এক বৈঠকে এ কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সভা ছিল। সেখানে কমিটির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন— ‘বাংলাদেশে যে শেখ হাসিনা বিরোধী একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা আমরা আগেই টের পেয়েছিলাম।’
তবে সেদেশে যে এত বড় গণঅভ্যুত্থান হতে চলেছে, তা আগাম টের পাওয়া সত্ত্বেও কেন নয়াদিল্লি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি? এমন প্রশ্নে জয়শঙ্কর জানান, কারণ শেখ হাসিনার ওপর তাদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল না। তাকে শুধু ‘পরামর্শ’ দেওয়া সম্ভব ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতের মতো আরও কয়েকটি প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানত।
এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভল্কার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়টি টেনে আনেন; যেখানে বলা হয়েছিল—শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে— এমন সতর্কবার্তা জাতিসংঘ আগে থেকেই দিয়েছিল বলে জানান তিনি।