আট বছরের বেশি সময় আগে রাজধানীর কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বাড়ি’-তে জঙ্গি নাম দিয়ে ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগে মানবতাববিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়। যে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা। গতকাল দুপুরে এ তিনজনকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। আদালত এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ মে ধার্য করে।
প্রসিকিউশনপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে এবং ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে পুলিশের এই কর্মকর্তারা জঙ্গি নাটক করেছিলেন। ইসলামিক ভাবধারার ৯ জন তরুণকে আগেই গ্রেপ্তার করে তাদের ওই জাহাজবাড়িতে আনা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই এই তরুণদের হত্যা করা হয়। এমনকি হত্যার পর নিহতদের স্বজনদের লাশ নিতে দেওয়া হয়নি। তারা জঙ্গি বলে পরিবার লাশ নিচ্ছে না বলে অপপ্রচার করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে এ মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তার হাজিরা : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডা- রামপুরা এলাকায় একটি ভবনের কার্নিশে থাকা এক ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা ও সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনপক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময়ের আবেদন করলে আগামী ২৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।