শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি পোশাক কারখানার মালিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেনি। এর মধ্যে পাঁচটি কারখানায় অসন্তোষ চলছে।
তিনি বলেন, যেসব কারখানা নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশনে তাদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। কারা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানাগুলোর নাম প্রকাশ করা যাবে না বলে জানান তিনি।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এসব মালিকদের বিদেশ ভ্রমণে সমস্যা হয় না, বাড়ি-গাড়ি করতেও সমস্যা নেই। অথচ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সময় তারা নানা সমস্যা দেখান।
২৭ মার্চের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। যদি আরও কোনো প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে না পারে তাদের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা।