মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে বড় কিছু মনে করছেন না। জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড এবং সিআইএ প্রধান জন র্যাটক্লিফ সিনেটে বলেছেন, চ্যাটে কোনো গোপন তথ্য শেয়ার করা হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন, কিন্তু তিনি শুনানিতে যাননি। খবর: বিবিসি।
ডেমোক্র্যাটরা এই কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার জন্য সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, তারা দেশের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেননি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যিনি এই চ্যাট ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এই ঘটনা ওয়াশিংটনে হইচই ফেলে দিয়েছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা কেন একটি সাধারণ মেসেজিং অ্যাপে গোপন বিষয় আলোচনা করেছিলেন। ১৮ জনের গ্রুপে জোশ গোল্ডবার্গের যোগ দেওয়াকে প্রথমে ভুল তথ্য ভাবলেও পরে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়।
এই চ্যাটে ১৫ মার্চের একটি বিমান হামলার কথা ছিল, যাতে ৫৩ জন মারা যায়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হামলা ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ইসরায়েলকে আঘাত করা।
র্যাটক্লিফ ও গ্যাবার্ড বলেছেন, চ্যাটে কোনো গোপন তথ্য দেওয়া হয়নি, এটা শুধু একটি ভুল ছিল। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা এটাকে দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক এবং অপেশাদারি বলেছেন। তারা এ ঘটনাকে ‘সিগন্যালগেট’ নাম দিয়েছেন।
ট্রাম্প পুরো ঘটনাকে ছোট করে দেখিয়েছেন। তার কথায়, ‘এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়, কোনো ক্ষতি হয়নি।’ তিনি মাইক ওয়াল্টজকে কোনো সমস্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন।
রিপাবলিকানরা বলেছেন, তারা বিষয়টি দেখবেন, কিন্তু এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে বড় রকমের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।