বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ফিলিস্তিনিরা বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছে 

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

২০২৬ বিশ্বকাপের স্বপ্ন এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে ফিলিস্তিন। মঙ্গলবার রাতে জর্ডানের আম্মান আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইরাকের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ফিরে এসে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে তারা। এই জয় শুধুমাত্র বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ধাপে তাদের প্রথম জয়ই নয়, বরং এক নতুন ইতিহাস রচনার মুহূর্তও।

ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ইরাক এগিয়ে যায় আইমেন হোসেনের গোলের মাধ্যমে। ইব্রাহিম বাইয়েশের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে পাঠিয়ে ইরাককে লিড এনে দেন তিনি। পুরো ম্যাচেই মনে হচ্ছিল, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে ইরাক।  

কিন্তু ফিলিস্তিন লড়াই ছাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও বেশি মনোযোগী হয়ে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ফিলিস্তিনের তারকা স্ট্রাইকার উইসাম আবু আলি হেডে গোল করে সমতা আনেন। খেলা যখন অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দিকে গড়াচ্ছিল, তখনও নাটকীয়তা বাকি ছিল।  ইনজুরি সময়ের সপ্তম মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত, যা ফিলিস্তিন ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। অ্যাডাম কাইয়েদ-এর কর্নার থেকে আমিদ মাহাজনে হেড করে বল জালে পাঠান, আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয় ফিলিস্তিনের।  

এই জয়ের ফলে ফিলিস্তিন গ্রুপ বি-এর পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে, ছয় পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেছে কুয়েত থেকে। তবে এখনো তাদের সামনে কঠিন লড়াই বাকি। আগামী ৫ জুন তারা কুয়েতের মাঠে এবং ১০ জুন ওমানের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচে হয়তো চতুর্থ স্থান নির্ধারিত হবে, যা প্লে-অফে খেলার সুযোগ করে দিতে পারে ফিলিস্তিনকে।  

উইসাম আবু আলির জন্য এই জয় ছিল বিশেষ আবেগঘন। ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফিলিস্তিনের হয়ে খেলার অনুমতি পান। তিনি একবার বলেছিলেন, "এই ফিলিস্তিনি পাসপোর্ট পাওয়া আমার জন্য একটা উপহার। ডেনমার্ক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের জন্য আমার হৃদয়ে আলাদা একটা জায়গা আছে। আমি চাই, আমার পরিবার এবং দেশবাসীকে আনন্দ দিতে।"  

এই জয় শুধু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নয়, পুরো ফিলিস্তিনি ফুটবলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত