ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতা প্রতিরোধে চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন আত্মমর্যাদাশীল দেশ। সম্মান-মর্যাদা ও অধিকারের জন্য লড়াইয়ের এক ঐতিহাসিক দিনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান চীন সফরে যাচ্ছেন। বিদ্যমান বাস্তবতায় এই সফরের বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়েছে।’
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যিক দ্বৈরথে যেসব চীনা কোম্পানি চীনের বাইরে তাদের কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে- বাংলাদেশ হতে পারে তাদের উত্তম গন্তব্য। কারণ বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, যারা শিক্ষিত এবং অল্প কিছু প্রশিক্ষণ পেলে তারা দক্ষ হয়ে উঠবে। এ বিষয়টি চীন সরকার ও চীনা উদ্যোক্তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের সফর ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত যেভাবে বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং বিশ্বরাজনীতিতে বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে তা প্রতিরোধে চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে আমাদের সামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক-বেসামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর আমাদের উভয়ের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এই বিষয়টিও এবারে সফরে তুলে আনতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘চীন আমাদের বহুদিনের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। এখন চিকিৎসা ও ব্যবসা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ যাতে আরও বৃদ্ধি করা যায় সেই উপায় খুঁজতে হবে এবারের সফরে।’
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ উইঘুর মুসলিমদের প্রসঙ্গে এনে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে আমরা আনন্দিত। কিন্তু চীনের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন সরকারের আচরণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের নানান প্রান্তের মুসলমানদের যে উষ্ণ সম্পর্ক তার ধারাবাহিকতায় উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন সরকার উষ্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তুলবে এই প্রত্যাশা আমরা করি। উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা চীন সরকারকে অবহিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান থাকবে।